‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি বাঙালির অস্তিত্বে মিশে আছে

মিতা পোদ্দার | বুধবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

আমার সোনার বাংলা হলো বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। বঙ্গমাতা সম্পর্কে এই গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৯০৫ সালে রচিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি ৩ মার্চ ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আমার সোনার বাংলা গানটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি পরিবেশন করেন বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীতজ্ঞ সানজীদা খাতুন। ছোটবেলা থেকেই বাবা মায়ের মুখে শোনা এই গান হৃদয় মনকে আবেগ তাড়িত করতো। এক অপরূপ মুগ্ধতায় ভরা ছিল এই গানের প্রতিটি লাইনে। জাতীয় সংগীতের যদি ব্যাখ্যা দিতে হয় তবে আমি বলবো স্রষ্টা পৃথিবীকে তার মনের মতো করে অপরূপ রূপে সাজিয়েছেন। বাংলার সেই রূপ অবলোকন ও হৃদয়ে ধারণ করে কবি তাকে সোনার ফসলের সাথে তুলনা করেছেন। কারণ এ মাটিতে কোনো প্রকার বীজ পড়লেই তাতে গাছ জন্মায়। হরেক রকম ফল আর ফসলে প্রকৃতি অনন্য রূপে সাজে। আর সেই বাংলাকেই কবি ভালোবাসেন।

পৃথিবীতে স্রষ্টার পরে যদি কেউ কাউকে ভালোবাসেন সে হচ্ছে তার মা। কবি দেশকে এতটাই আপন ভেবেছেন যে, তাকে মায়ের সাথে তুলনা করেছেন। এখানে তার দেশপ্রেম এবং মাতৃভক্তির প্রকাশ পেয়েছে। মনে হয় যেন প্রকৃতি তার ছায়া ও স্নেহে আমাদের আপন সন্তানের মতো মাতৃ মায়ায় আবদ্ধ করে রেখেছেন। ক্লান্ত পথিক রৌদ্রে নদীর কূলে বসে সারি সারি বটের ছায়ায় মায়ের আঁচলস্পর্শ অনুভব করে। একটি বটগাছ যেন মায়ের ক্লান্ত পরিশ্রান্ত সন্তানের জন্য শীতল পাটি বিছিয়ে রেখেছে। এই অনুভূতিকে প্রতিটি বাঙালি অন্তরে ধারণ করে রেখেছে সেই যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের পর থেকে। আমি সুরেলা কণ্ঠে গেয়ে যাই-‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের প্রতি বাণিজ্য বৈষম্য দূর হোক
পরবর্তী নিবন্ধবঞ্চিত শিক্ষক সমাজ