আমি সামিনা আলম চুয়েট থেকে ই ই ই তে বি এস সি, করেছি। ADB-Japan scholarshipনিয়ে এমএসসি করেছি AIT Thailand থেকে। বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম এ কর্মরত আছি।
পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা ছবি আঁকা গান আবৃত্তি বিভিন্ন কিছুতে অংশ নিতাম। মা এসবে অনেক উৎসাহ দিতেন। ফল স্বরূপ আমরা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করি।
আমার মা সবসময় সচেষ্ট ছিলেন সন্তানের পড়াশোনাকে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিতে। বিভিন্ন কঠিন সময়ে মা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও উৎসাহ দিয়েছেন। আমি যখন এম এস সি করতে বিদেশে যাই, কিছুদিনের মধ্যে জানতে পারি আমি সন্তান সম্ভবা। অনেকেই আমাকে দেশে ফিরে আসতে বললেও মা আমাকে বুঝালেন কষ্ট করে হলেও যেন ডিগ্রিটা শেষ করি। অনেক মাকে দেখা যাই সন্তানের জন্য ডিগ্রি/ ক্যারিয়ার শেষ করে দেয় আর পরবর্র্তীতে সন্তানদের বুঝায় তাদের জন্য তারা কি সেক্রিফাইস করেছে। আমার মা এটা সমর্থন করেন নি। তিনি আমাকে বললেন এভাবে যদি সেক্রিফাইসের ধারা চলতে থাকে তবে মেয়েরা সফল হবে কিভাবে। মা আমাকে এই বলে অনুপ্রেরণা দেন যে আমি যদি বাচ্চা পেলেও সফল ভাবে ডিগ্রিটা শেষ করি তবে তা আমার সন্তানের জন্য দৃষ্টান্ত হবে। তার কথাই সম্মত হয়ে ডিগ্রিটা শেষ করি। সামপ্রতিককালে আমি আমার কাজের জন্য ইউএনডিপি থেকে নিরভয়া উপাধি লাভ করেছি। সব কিছু সম্ভব হয়েছে আমার মায়ের জন্য। আমি মনে করি আমার মা নিজেই একজন অমূল্য রত্ন যার গর্ভে আমরা জন্ম নিয়ে ধন্য হয়েছি। মা দিবসে এই অসাধারণ নারীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।