চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. আশিষ দে’র তত্ত্বাবধানে আমার আব্বুকে হার্টের রিং পরানোর পর সন্ধ্যা ৬টায় হঠাৎ করে আবার কার্ডিয়াক এরেষ্ট হয়। রিং পরানোর পরবর্তী আব্বু খুব স্বাভাবিকই ছিলো। কথাবার্তা খুব সুন্দর করেই বলছিল। কিন্তু! হঠাৎ করেই বলছিলো আমার বুকে ব্যথা লাগছে। এই সিস্টার! ডাক্তার সাহেব একটু নিয়ে আসেন তো আমার বুকে ব্যথা লাগছে। অথচ আব্বুই ডাক্তারদের ডেকেছেন এর দশ মিনিটের মধ্যেই আব্বু মারা যান।
আব্বুকে আমি, মো. লোকমানউদ্দীন বাবলু, মো. তাওহীদ ইসলাম তৌহীদ, আমার দাদু সহ অ্যাম্বুলেন্েস যখন তুলি পুরো হাসপাতালের ভেন্যু যেনো আকাশ থেকে ভারি বর্ষণ হচ্ছিলো। তিনভাই বোন ও দাদুসহ আমাদের আহাজারিতে সকলের চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছিলো। সারা পথে অ্যাম্বুলেন্েস আব্বুকে আমি জড়িয়ে ছিলাম। সেই থেকে অ্যাম্বুলেন্সে সাইরেন শুনলে আমার আব্বুর কথা মনে পড়ে বুকটা হাউমাউ করে উঠে। আব্বুরে তোমাকে খুব মনে পড়ে। আম্মুর মৃত্যুর পর আম্মুর মতো তুমিই আমাদের ভাইবোনকে আগলে রেখেছিলে।
এখনো তোমার ফোনের সাথে কারো তুলনা করা যায় না। তোমার সে ফোন ও কণ্ঠকে খুবই মনে পড়ে আব্বু। আপুর ওখান থেকে বাড়িটা দেখতে গিয়ে যখন চলে আসছি তখন লাগছিল আমার ডাকনাম টিটু বলে যেনো পেছন থেকে সেই ডাকটা যেনো দিচ্ছে। তারপর মেজো আপুকে নিয়ে দূর থেকে তোমার কবরখানা দেখে অশ্রুহীন একরাশ মমতা নিয়ে চলে আসি। বাড়িতে তোমার শূন্যতা যেনো আমাদের কাঁদায়। তাই বাড়িতে গেলে থাকতে পারি না। মনটা রাশভারী হয়ে উঠে। সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া করবেন।
আব্বু রে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আল আমিন তোমাকে জান্নাতের আলা উচ্চ মকাম দান করুক। রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বানি সাগিরা।