আমি জানতাম মৃত ব্যক্তি মানেই হিম শীতল দেহ!
আমার ভুল ভেঙেছে।
এখন প্রশ্ন জাগে,
মৃত্যুর পর ঠিক কতটা সময় লাগে
পৃথিবীর উষ্ণতার মায়া কাটাতে?
আমার ছোট ভাইয়ের সাথে ফেসবুকে পোস্ট করা
দাদীর ছবি দেখে মনে পড়লো;
আমার দাদী যখন তাঁর জীবনের
শেষ দিনগুলোর একটিতে,
এক মধ্য রাতে অক্সিজেন নাকে লাগানো দাদী
ছোট চাচাকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘আমার আত্মাটা কই রাখছো?’
ছোট চাচা বেশ মায়াভরা কণ্ঠে প্রতিত্তোর করেছিলেন,
‘আছে আমার কাছে!’
‘আচ্ছা,’ এই বলে দাদী যেন আবার
নিশ্চিন্ত তন্দ্রায় চলে যায়।
সেই থেকে আমি এই ‘আমার আত্মাটা কই রাখছো?’
বাক্যটার মর্মার্থ খুঁজে চলেছি।
নিথর দেহটা বেশ গরম তখনও!
তখন হয়তো পুরোনো সেই টু ইন ওয়ানের ভেতরে
বারবার আটকে যাওয়া ক্যাসেটের ফিতাটাও জীবনের গল্প
রিওয়াইন্ড করতে যেয়ে আটকে যায় মস্তিষ্ক ও মননে!
পৃথিবী জুড়ে ভালোবাসার উষ্ণতা সিদ্ধান্ত নেয় কতক্ষণ সে
স্থায়ী হবে। যে যত বেশি ভালোবাসতে জানে,
তাঁর দেহ ততখানি ধারণ করে সেই নিখাদ উষ্ণতা।
এভাবেই যদি যেতে পারে সে মাটির ঘরে,
তবে, তাকে কি ফেলা যায় মৃতদের সারিতে?
সকল প্রেমের উৎসারিত ধারা বুঝি কখনও হয় না
হিম শীতল মৃতদেহ। সে জানে আদরের পুত্র যত্নে রাখে
তাঁর আত্মাখানি! পৌত্র লালন করে অকৃত্রিম
ভালোবাসার খনি!