কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, মাথার ভেতর নানা সময়ে পাগলামি ভর করতো। সেই পাগলামির অংশ হিসেবে ১৯৮৪ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছি আমি। তন্মধ্যে ছিলো ‘প্রেরণা’, ‘বাঙালি’, ‘শিশুমেলা’, ‘দুরন্ত’, ‘সাপ্তাহিক ছড়াসাহিত্য’, ‘লেখালেখি’, ‘শিশুসাহিত্য’ প্রভৃতি। প্রায় বিশ বছর ধরে সম্পাদনা করি ছোটদের কাগজ ‘দুরন্ত’। ‘সাপ্তাহিক ছড়াসাহিত্য’ নামে ছড়ার পত্রিকাটি এক বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশ করতে পেরেছিলাম। এখন কেবল অনিয়মিতভাবে প্রকাশ করছি ‘শিশুসাহিত্য’ নামের লিটল ম্যাগাজিনটি। আমার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আয়েশা হক শিমুর সম্পাদনায় ‘শৈলীটিভি’ নামে একটা অনলাইন পেপার প্রকাশিত হয় শৈলী থেকে। এছাড়া বেশ কয়েকটি সাময়িকী নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে নেছার আহমদের সম্পাদনায় ‘শিল্পশৈলী’, আজিজ রাহমানের সম্পাদনায় ‘শৈলী সাহিত্য বুলেটিন’, কাসেম আলী রানার সম্পাদনায় ‘ছড়াশৈলী’, রুনা তাসমিনার সম্পাদনায় ‘অনন্য ধারা’, অমিত বড়ুয়ার সম্পাদনায় ‘কিশোরবেলা’, ইসমাইল জসীমের সম্পাদনায় ‘কিশোরশৈলী’।
ছোটোদের কাগজ সম্পাদনা করা কিংবা তার সঙ্গে থাকতে পারার মধ্যে রয়েছে আমার আনন্দ। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে প্রকাশিত এইসব কাগজকে আমি স্বাগত জানাই। যাঁরা এ কাজে সময়, শ্রম ও মেধা ব্যয় করছেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
সম্প্রতি রাজশাহী থেকে প্রকাশিত হলো শিশুকিশোর পত্রিকা ‘ছোটবেলা’র সূচনা সংখ্যা (বর্ষ–১, সংখ্যা–১)। প্রধান সম্পাদক এস এম তিতুমীর, সম্পাদক মাসুম আওয়াল। পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন জান্নাতুল ফেরদৌসী। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন আশফাকুল আশেকীন, হাসনাত আমজাদ, সুমন শামস। প্রথম সংখ্যায় নবীন প্রবীণ অনেক লেখকের লেখা স্থান পেয়েছে। প্রথম সংখ্যা হিসেবে চমৎকার। আমি এ প্রকাশনাকে স্বাগত জানাই। এ ধরনের পত্রিকা শিশু–কিশোরদের প্রতিভা বিকাশে যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি শিশুসাহিত্যের প্রসারে ভালো অবদান রাখতে পারবে—সেই আশাবাদ ব্যক্ত করা যায় অনায়াসে।
২.
শিশুসাহিত্য মূলত শিশু–কিশোরভোগ্য সাহিত্য হলেও তার বিষয়বস্তু শিশু বা বয়স্ক উভয়ই হতে পারে। বুদ্ধদেব বসুর ভাষায় ‘শিশুসাহিত্য’ সত্যিকার সাহিত্য হলে বড়রাও তা পড়ে আনন্দ পান। বাংলাদেশে শিশুসাহিত্য ক্রমশ সাহিত্যের অন্যতম বলিষ্ঠ শাখায় পরিণত হচ্ছে। একেবারে গোড়ার দিকে যেসব প্রবীণ লেখক শিশুসাহিত্য চর্চার মূল ভিত্তি তৈরির চেষ্টা করেছেন, তাঁদের অগ্রযাত্রার মূল মাধ্যম ছিল শিশুসাহিত্য সাময়িকী বা ছোট কাগজ। এসব সাময়িকীকে সিঁড়ি হিসেবে কাজে লাগিয়েছিলেন লেখকরা। সাময়িকীগুলোর মধ্যে ছিল : মুকুল (সম্পাদক : আবদুল্লাহ আল–মুতী শরফুদ্দীন). ঝংকার (সম্পাদক : মঈন–উর–রহমান), মিনার (সম্পাদক : বেগম ফাওজিয়া সামাদ), হুল্লোড় (সম্পাদক : ফয়েজ আহমদ), সবুজ নিশান (সম্পাদক: তৈয়বুর রহমান), আলাপনী (সম্পাদক : আবদুল ওয়াজেদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আজিজুর রহমান), সেতারা (সম্পাদক : সরদার জয়েনউদ্দীন), শাহীন (সম্পাদক : সরদার জয়েনউদ্দীন), সবুজসেনা (সম্পাদক : আল কামাল আবদুল ওহাব), খেলাঘর (সম্পাদক : বেগম জেব–উন–নিসা আহমদ), কিশলয় (সম্পাদক : আলমগীর জলিল, পরবর্তীকালে আলাউদ্দীন আল আজাদ), রঙধনু (সম্পাদক : মোসলেম উদ্দিন), পাপড়ি (সম্পাদক : হাবীবুর রহমান), সবুজপাতা (প্রথম সম্পাদক : শাহেদ আলী), সোনার কাঠি, নবারুণ (সম্পাদক : শামীম আজাদ), টরে টক্কা (সম্পাদক : মো. আবদুল কাদের), কচি ও কাঁচা (সম্পাদক : রোকনুজ্জামান খান), সৃষ্টি সুখের উল্লাসে (সম্পাদক : গোলাম মোরশেদ), টাপুর টুপুর (সম্পাদক : এখলাসউদ্দিন আহমদ) প্রভৃতি। তবে এগুলোর মধ্যে রোকনুজ্জামান খান সম্পাদিত ‘কচি ও কাঁচা’ এবং এখলাসউদ্দিন আহমদ সম্পাদিত ‘টাপুর টুপুর’ বাংলা শিশুসাহিত্যে নজির সৃষ্টিকারী উল্লেখযোগ্য পত্রিকা। শিশুসাহিত্যের বিকাশপর্বে এ দুটি পত্রিকার ভূমিকা অসামান্য। স্বাধীনতা–উত্তর বাংলাদেশে শিশু ও শিশুসাহিত্য বিষয়ক অনেকগুলো পত্রিকা ও ছোট কাগজ প্রকাশিত হয়েছে। এদের মধ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর নিয়মিত প্রকাশনা দেখা গেলেও ব্যক্তি–উদ্যোগে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর বেশির ভাগেরই ঘটেছে অকালমৃত্যু। তবু দু‘-একটি পত্রিকা যে তাদের প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে পারছে, তাতেই আমাদের আনন্দ। এ পর্যন্ত প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘ধান শালিকের দেশ’, ‘শিশু’, ‘নবারুণ’, ‘সবুজপাতা’, ‘কিশোর বাংলা’, ‘কিশোর তারকালোক’, ‘কিশোর পত্রিকা’, ‘টইটম্বুর’, ‘আসন্ন’, ‘ছোটদের কাগজ’ প্রভৃতি। ‘ধান শালিকের দেশ’ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত শিশু–কিশোর সাহিত্য পত্রিকা। প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে। একাডেমি মহাপরিচালক বরাবরই পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে থাকেন একজন পরিচালক অথবা উপ–পরিচালক। প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ড. মাযহারুল ইসলাম। অঙ্গসজ্জা, লেখা নির্বাচন ও মুদ্রণ পরিপাঠের জন্য পত্রিকাটি অনেকের কাছে প্রিয়।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির নাম ‘শিশু’। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত হলেও দেশের নবীন–প্রবীণ–শিশু সাহিত্যিকরা এটাকে তাঁদের নিজেদের একান্ত পত্রিকা হিসেবে মনে করেন। এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ঘটছে। ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে শিশু’র প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর মাসিক পত্রিকা হিসেবে এটির প্রকাশনা এখনো অব্যাহত আছে। প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন একাডেমির পরিচালক জোবেদা খানম এবং সহকারী সম্পাদক ছিলেন কথাশিল্পী বিপ্রদাশ বড়ুয়া।
সচিত্র কিশোর মাসিক পত্রিকা ‘নবারুণ’। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে এটি প্রকাশিত হয়। এটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৩৭৭ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে। প্রথম সংখ্যার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন আবদুস সাত্তার। মাঝখানে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ থাকলেও বর্তমানে তা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
‘সবুজপাতা ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটি শিশুকিশোর মাসিক। স্বাধীনতার আগে থেকে, অর্থাৎ ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে এটি প্রকাশিত হচ্ছে। তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী একাডেমি। ইসলামী মূল্যবোধকে সামনে রেখে পত্রিকাটি তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। পত্রিকাটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন কথাসাহিত্যিক শাহেদ আলী। ‘কিশোর বাংলা’ ট্যাবলয়েড সাইজের ছোটোদের একটি প্রিয় পত্রিকা। দৈনিক বাংলা গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স থেকে সাপ্তাহিক হিসেবে এটি প্রকাশিত হতো। এর প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৭৬ সালে। প্রথম সম্পাদক ছিলেন নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী। অল্প ক‘দিন পরেই সম্পাদক হলেন সানাউল্লাহ নূরী। ১৯৭৭ সালে পত্রিকাটি অবজারভার গ্রুপের তত্ত্বাবধানে চলে যায়। তখন সম্পাদক হন এস. এম. পারভেজ। কিন্তু আগাগোড়া সময়েই ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন রফিকুল হক। পত্রিকাটির লেখা, খবর এবং বহুরঙা ছাপার কারণে শিশু ও শিশুসাহিত্যিকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পত্রিকাটির প্রকাশনা টেকেনি। ১৯৮৩ সালে তার প্রকাশনা বন্ধ হলেও অতি সম্প্রতি সেটি বের হচ্ছে ভিন্ন মালিকানায়। এটি আমাদের শিশুকিশোর সাহিত্যের জন্য বড় সুখবর।
বিনোদন পত্রিকা তারকালোক গ্রুপের মাসিক শিশু–কিশোর পত্রিকা ‘কিশোর তারকালোক’। ১৯৯১ সালে প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন আরেফীন বাদল এবং সম্পাদক ছিলেন কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন। প্রায় এক দশক ধরে পত্রিকাটি তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পেরেছিল।
‘কিশোর পত্রিকা’। সম্পাদক কাজী আনোয়ার হোসেন। ১৩৯৮ বঙ্গাব্দে প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়। মাসিক পত্রিকা হিসেবে এটি অর্জন করেছে জনপ্রিয়তা।
‘টইটম্বুর’ উন্নত প্রকাশনাসমৃদ্ধ একটি মাসিক পত্রিকার নাম। এর প্রথম প্রকাশ থেকে এ পর্যন্ত সব কটি সংখ্যা নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সেলিমা সব্্িহ, উপদেষ্টা সম্পাদক শিল্পী সব্্িহ–উল–আলম, পরিচালনা সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন জঙ্গি। প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে। এর বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে সকল বিভাগের মধ্যে রয়েছে বৈচিত্র্য। বর্তমানে সম্পাদক হিসেবে আছেন নাওশেবা সবিহ কবিতা।
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশোরদের উৎকর্ষধর্মী মাসিক পত্রিকা ‘আসন্ন’ ১৯৮৭ সালে এটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির উপদেষ্টা হিসেবে আছেন কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
‘ছোটদের কাগজ’ জনপ্রিয় ছড়া শিল্পী লুৎফর রহমান রিটন সম্পাদিত অপূর্ব মাসিক পত্রিকা। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে এটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এটির লেখা নির্বাচন, অঙ্গসজ্জা ও মুদ্রণ পরিপাট্যের জন্য শিশুসাহিত্যিকদের প্রিয় পত্রিকা হিসেবে অন্তরে স্থান লাভ করেছিল। বিশেষ বিশেষ সময়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ এর সুনামকে আরও বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছিল। কিন্তু সম্পাদক লুৎফর রহমান রিটনের প্রবাস জীবন শুরুর পর এটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
‘ঝুমঝুমি’ আমাদের আরেক জনপ্রিয় শিশুকিশোর পত্রিকা। এটির প্রথম সম্পাদক পাশা মোস্তফা কামাল। বর্তমানে তিনি প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন, সম্পাদক হিসেবে আছেন শায়লা রহমান তিথি।
‘ছড়া পত্রিকা’ মাহবুবুল হাসান সম্পাদিত অপূর্ব কাগজ। ছড়ার প্রচার প্রসারে এটিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়।
‘ছোটদের সময়’ সাম্প্রতিক সময়ে শিশুসাহিত্যিকদের মাঝে সমাদৃত পত্রিকা। এর সম্পাদক মামুন সরওয়ার। আইরীন নিয়াজী মান্নার ‘কিশোর লেখা’ ও মঈন মুরসালিনের ‘কানামাছি’ নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া দুটি পত্রিকা। কিশোর লেখার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিশেষ সখ্যা প্রকাশ করা।
উল্লিখিত শিশুসাহিত্য পত্রিকাগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে শিশুসাহিত্যের প্রচার–প্রসারে ভূমিকা রেখেছে খন্দকার আখতার আহমদ সম্পাদিত ‘ছড়া সামপ্রতিক‘, মোশতাক দাউদীর ‘ছড়রা’, ‘রাইমার্স এ্যালবাম’, শামসুল হক হায়দরীর ‘ছড়া–ছড়াকার, মাহবুবুল হকের ‘সাহসী ঠিকানা’, আবুল মোমেনের ‘খেলাপড়া’, বখতেয়ার হোসেনের ‘খেলনা’, দীপক বড়ুয়ার খোকন, ‘ঋভু’, ‘শিশুমেলা’, অরুণ শীলের ‘ছড়ায় ছড়ায় একুশ’, রমজান আলী মামুনের ‘কিশোর সমাবেশ’, যাযাবর মিন্টুর ‘পালক’, রেহেনা আশিকুর রহমানের ‘কিশোর ভুবন’, এমরান চৌধুরীর ‘আলোর পাতা’, আখতারুল ইসলামের ‘আনন্দপুর’, এয়াকুব সৈয়দের ‘স্লোগান’, মুহাম্মদ নাসির উদ্দিনের ‘ছড়া সামপ্রতিক’, ফারুক হাসানের ‘কথন’, উৎপলকান্তি বড়ুয়ার ‘ঝিনুক’, ‘ঘাসফড়িং’, ‘ঝিকিমিকি’, আহসান মালেকের ‘জলসিঁড়ি’, মোস্তফা কামাল পাশার ‘গাঙচিল’, আবসার মাহফুজের ‘দুর্নিবার’, বিদ্যুৎ কুমার পাশের ‘পান্থ’–এর শিশুসাহিত্য সংখ্যা, জি.এম মুজিবুর রহমানের ‘প্রগল্ভ’, মতিউর রহমান মনিরের ‘লালপদ্ম’, নাসির উদ্দিন শাহ’র ‘উচ্ছ্বাস’, লোকমান আহম্মদ আপনের ‘উচ্ছল’, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের ‘সবুজ আসর’, মিয়া মনসফের ‘রিনিঝিনি’, মুহাম্মদ জাফর উল্লাহর ‘শিশুকিশোর দ্বীন দুনিয়া’, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের ‘সাম্পান’, শিব প্রসাদের ‘সজাগ’, আনোয়ারুল হক নূরীর ‘সজাগ’ (কিশোর কবিতা সংখ্যা), রমজান মাহমুদের ‘ছড়ার কাগজ’, ‘কিশোর কাগজ’, কাদের বাবুর ‘বাবুই’, রুমা দাশ পড়শির ‘ইচ্ছে ডানা’, সৈয়দ রাশেদ রেজার ‘সরোজ’, ওবায়দুল সমীরের ‘ঝালমুড়ি’, সাহেদুল ইসলাম জিল্লুর ‘কিশোর কাল’, মিজানুর রহমান শামীমের ‘প্রতীকী’, শিমুল মাহমুদের ‘প্রতিধ্বনি’, আল জাবেরীর ‘লাটিম’, বদরুন নাহার ও নবীর হোসাইনের ‘ঝিনুক’, ওয়াহিদ ওয়াসেক ও খায়রুল আলম রাজুর ‘শিশুটামি‘ প্রভৃতি। যে কয়েকটি পত্রিকা বা সাময়িকীর নাম এখানে তুলে ধরলাম, তার বাইরেও অসংখ্য পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে।
বাংলাদেশের শিশুসাহিত্য অঙ্গনে প্রতিনিয়ত যেমন আসছে নতুন নতুন গ্রন্থ তেমনি প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হচ্ছে নতুন নতুন সাময়িকী, সংকলন। শিশুসাহিত্যের প্রবহমান ধারাটিকে বেগবান করতে এবং একই সাথে সুসংহত করতে এগুলো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে – সে প্রত্যাশা নিঃসন্দেহে করা যায়।
লেখক : সহযোগী সম্পাদক, দৈনিক আজাদী; ফেলো (নম্বর–৪২২), বাংলা একাডেমি।