আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মঘাতী আচরণে উন্মত্ত : নাছির

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১১ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দলের কঠিন সময়গুলোতে যারা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে রাজপথে থাকবেন তারাই প্রকৃত কাণ্ডারী। অথচ এদেরকে আমরা অন্তরে ধারণ করি না। এমনকি মর্যাদাও প্রদান করি না। আজ লক্ষ্যণীয় যে, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মঘাতী আচরণে উন্মত্ত। আমরা বুঝি না এই আত্মঘাতী আচরণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফায়দা লুটছে। মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিলর হাজী মো. এয়াকুবের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। হাজী এয়াকুবের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক অভিহিত করে নাছির বলেন, তিনি অনেক বড় নেতা না হয়েও দলের জন্য যে ভূমিকা রেখেছেন অনেক বড় নেতাও তা রাখতে পারেননি। আমরা ড্রয়িংরুমে বসে দলের জন্য নেতিবাচক আচরণগুলো করে পত্র-পত্রিকায় নিজেদেরকে জাহির করি। এই প্রবণতা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। যারা নেতৃত্বের জন্য লালায়িত হয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাচ্ছেন তারা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের খলনায়ক হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পরিত্যক্ত ও পরিত্যাজ্য হবেন।
তিনি বলেন, আমরা নিজেদের সমালোচনা করছি, কিন্তু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিই না। এমনকি দল ও সরকারের সাফল্য, অর্জনগুলোকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হচ্ছি। আরো দেখা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একজন আরেকজনের যুক্তিহীন চরিত্র হনন করছি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনস্বার্থে যে কাজগুলো করে যাচ্ছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফোকাস করি না। এতে মনে হয় আমরা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বোকার স্বর্গে বাস করছি।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা দল ও দেশের সম্পদ। তারা মাটি ও মানুষের ভাষা বুঝেন এবং মৃত্যুর পরও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকেন। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা দলে যথাযথ মূল্যায়িত হচ্ছেন না। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, হাজী মো. এয়াকুবের মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে আমরা হারিয়েছি, তার বিকল্প কখনো হতে পারে না।
আতুরার ডিপোয় মরহুমের বাসভবন প্রাঙ্গণে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই স্মরণসভায় অনুষ্ঠিত হয়। সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, হাজী মো. হোসেন, আহমেদুর সিদ্দিকী, দিদারুল আলম চৌধুরী, আবু তাহের, শহীদুল আলম, সৈয়দ আমিনুল হক, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, পেয়ার মোহাম্মদ, রেজাউল করিম কায়সার, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, মো. জামাল উদ্দীন, আমিনুল হক রঞ্জু, রুহুল আমিন মুন্সী, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, মো. ইয়াকুব, আব্দুর রহিম, শেখ সরওয়ার্দী, আব্দুল মালেক, সোহেল মাহমুদ, এস এম বাবলু, জাহেদুল আলম চৌধুরী, শাকিল মাহমুদ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদিন দিন প্রকট হচ্ছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারী ও চন্দনাইশের দুই নারীর কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী