‘আমাদের পেটে ভাত নেই, পরিবারে ঈদ নেই’

দূরপাল্লার গাড়ি চালুর দাবি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৪ মে, ২০২১ at ১০:০৮ অপরাহ্ণ

‘আমাদের পেটে ভাত নেই, আমাদের পরিবারে ঈদ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গাড়ি চালাতে চাই।’ আজ শুক্রবর ঈদের দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পরিবহন মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, ঈদের সময় যেভাবে মানুষ শপিং করল তাতে মনে হলো মার্কেটে করোনার প্রাদুর্ভাব নেই, শুধু দূরপাল্লার গাড়ির ক্ষেত্রেই যতো সমস্যা। নেতৃবৃন্দ বলেন, দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ করে সরকার ভেবেছিল, দূরগামী মানুষকে আটকে রাখা যাবে। কিন্তু মানুষ ঠিকই গাদাগাদি করে মাইক্রোবাস, হায়েস এমনকি এ্যাম্বুলেন্সে করেও বাড়ি গেছে। এতে হিতে বিপরীতই হয়েছে। দূরপাল্লার গাড়ি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে দিলে এ সমস্যা হতো না। করোনার প্রকোপ বাড়তো না।

তাদের দাবি, নগরীতে ফেরত আসার সময় হলেও দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলতে দিলে পরিবহন মালিক শ্রমিক কিছুটা রক্ষা পেত, পাশাপাশি ফেরত আসা মানুষগুলোও উপকৃত হতো।

শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত নগরীর অলংকার মোড়, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। অলংকার মোড়ে বাংলাদেশ আন্ত:জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন পূর্বাঞ্চল কমিটির (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, আমাদের শ্রমিকদের তিনটে দাবি। এক. স্বাস্থবিধি মেনে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচলের অনুমতি প্রদান, দুই. পরিবহন শ্রমিকদের জন্য আর্থিক অনুদান, তিন. ওএমএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন টার্মিনালে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ।

এছাড়া মালিক পক্ষের দুটো দাবি হলো, ব্যাংকের কিস্তির টাকা মওকুফ এবং ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা। তিনি বলেন, এক মাস সাত দিন ধরে পরিবহন বন্ধ, এ সময় সরকার থেকে কোনো ধরনের খাদ্য সহ্যায়তা আমরা পাইনি। আমরা সরকারের কাছে তালিকা দিয়েছি। সেই অনুযায়ী সবাইকে অনুদান দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সরকার পোশাক শ্রমিকদের জন্য সাত হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন। কিন্তু পরিবহনের মতো এত বড় সেক্টরে কোনো প্রণোদনা কেন দেওয়া হবে না?

আন্ত:জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিযনের কোষাধ্যক্ষ সাইদুল হক মাস্টারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমাম শরীফ চৌধুরী (মাইজভান্ডারী), দপ্তর সম্পাদক আবুল কাসেম, সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক নেতা হারণ আর রশীদ প্রমুখ। এদিকে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মুছার নেতৃত্বে একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিতু হত্যার মোটিভ জানতে তিনটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পিবিআই
পরবর্তী নিবন্ধঈদে বন্ধ নগরীর বিনোদনকেন্দ্র, নেই চিরচেনা চিত্র