প্রতিদিন শুরুতেই আমাদের চিন্তা চেতনা থাকতে হবে, আমি আমার নতুন প্রজন্মকে কী দিয়ে যেতে পারি? আমাদের সন্তান–সন্ততি যখন প্রথম শব্দ উচ্চারণ করে তা হল মা, আমরা কচি কচি বাচ্চাদের প্রথম শব্দ যেটা শুনাই সেটা হল মা আর বাবা, এবং ভাই–বোন কিংবা দাদা–দাদি নানা–নানী, ঠিক তদ্রুপভাবে আমরা যদি বাচ্চাদের মুখের শব্দ ফোটার সাথে সাথে ভালো কথাগুলো শেখায় তারা সেগুলো শেখার চেষ্টা করবে, একটু বড়ো হতে হতে তাদেরকে শেখাতে হবে মানুষের ভালো দিকগুলো, যেমন ঐ লোকটা অনেক ভালো ছিল ঐ লোকের কাজগুলো অনেক ভালো কাজও প্রশংসনীয় এবং ঐ লোকের চলা চরিত্র এত সুন্দর পাড়া মহল্লায় সবাই তার সুনাম করে, এবং লেখাপড়া করে ভালো একজন মানুষ হওয়া যায়, বড়দের সম্মান করা এবং ছোটদের স্নেহ করা এসব শেখায়, তখন সেই ছেলেটা প্রতি কদম চলতে চলতে এসব কথাগুলো তার মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। যেমন– বাচ্চাদের হাতে আপনি কলম ধরিয়ে দিলে সে এলোপাতাড়ি লিখতে থাকবে আর বই হাতে দিলে সে বইটা নেড়েচেড়ে দেখবে এবং বই পড়ার আগ্রহ জাগবে, এমনভাবে আমরা আমাদের শিশুদের ভালো একটা শিক্ষা উপহার দিতে পারি, তাতে তার ভবিষ্যৎ সুন্দর হবে এবং একজন ভালো মনের পরিপূর্ণ মানুষ হবে। আর আমরা যে ছেলেদের উপদেশ আদেশ দিয়ে থাকি ঐ লোকটার সাথে চলাফেরা করবে না লোকটা খারাপ ঐ লোকটার চলাফেরা ভালো না ঐ লোকটা বদমাশ এবং ঐ লোকটা ঝগড়াটে, এই কথাগুলো আমরা বাচ্চাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেই, খারাপ দিকটা আমরা তাদের কাছে তুলে ধরি, আসলে খারাপ জিনিসগুলো মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে, আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে খারাপ দিকটা আমরা যেন বাচ্চাদের কাছে তুলে না ধরি, তাহলে তার মাথার ভেতর ঐ সমস্ত খারাপ খেয়ালগুলো কখনো জাগবে না। আমাদের চিন্তা চেতনা দিয়ে আমরা শিশুদের যেদিকে চালাই শিশুরা সেদিকে চলবে, যেমন একটা ছোট চারাগাছ সোজা হয়ে উপরের দিকে উঠতে যাচ্ছে, হয়তো কোনো দুষ্টু লোক চারাগাছটি একটু বাঁকা করে দিল বা ভেঙে দিল, তখন থেকে ঐ গাছের চারাটা আর কখনো সোজা হয়ে উঠতে পারবে না, বাঁকাই থেকে যাবে।
তাই আমাদের সর্বোপরি খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের এমন কোনো বাঁকা পথে চলার ব্যবস্থা না করা, তখন বাচ্চাটা সুন্দরভাবে চলাফেরা করবে এবং সুন্দর সুন্দর কথা বলবে কারো ক্ষতি করার থেকে বিরত থাকবে, তখন সুন্দরভাবে একটা জাতি আমাদের দেশে উপবিষ্ট হবে এবং দেশের আনাচে–কানাচে তাদের ভালো ভালো দিকের আলো ছড়িয়ে যাবে, তখনই আমাদের দেশ একটি সুন্দর সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।