বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদের আর কোনো শত্রু নেই। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ। এদের বিরুদ্ধে আমাদের যত ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি আছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মার্চ ফর ইউনিটি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। হাসনাত বলেন, আমরা ৩ আগস্ট শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এক দফা ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে একে অনেকে মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য সচিবালয়ে, পুলিশে, বিচার বিভাগে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে। আমরা আপনাদের বলতে চাই, আগে ছিল সতীদাহ প্রথা, এখন আমরা দেখছি নথিদাহ প্রথা। যারা সচিবালয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, আপনাদের বলতে চাই, রিয়েলিটি মাইন্যা নেন। আপনাদের আম্মু আর দেশে ফিরবে না। আমরা তাকে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়েছি। খুনি হাসিনার আর এদেশে পুনর্বাসন হবে না। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর খুনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নির্যাতন ও নিপীড়নের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী যতগুলো শক্তি রয়েছে, আলেম–ওলামাদের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আমরা যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছি, আমাদের ডাকে সারা বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। আমরা হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দ্রব্যমূল্য এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আপনি যদি মনে করেন, বারবার বলতে থাকেন সিন্ডিকেট এক হাত থেকে আরেক হাতে গেছে, তাহলে আপনার কাজ কি? এই সিন্ডিকেটের হাত ভেঙে দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। কোনো বিপ্লবীকে যদি আক্রমণ করা হয়, এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
হাসনাত বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে সেগুলোর বিচার নিশ্চিত করতে পারিনি। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে দেশপ্রেমী অফিসারদের একজন একজন করে হত্যা করা হয়েছে। অতি শিগগির এই পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা শাপলা চত্বরের ঘটনাকে ভুলে যাইনি। সেখানে রাতের অন্ধকারে লাইট নিভিয়ে আলেম–ওলামাদের মেরে ফেলা হয়েছে। আলেম–ওলামাদের এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।