শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, চট্টগ্রামের বেশির ভাগ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে যেতে চায়। কিন্তু সেখানে যে জীবনধারা তা অনেকটা মানবেতর বলা চলে। তবে জাপানে সেরকম না। জাপানে মানুষের জীবনবোধ, সমাজ–সভ্যতা অনেক উন্নত। এশিয়ার উন্নত দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম বলা যায়। ইউরোপ–আমেরিকার চেয়েও উন্নত। তাই আমরা যেন জাপানমুখী হই। চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের বলবো– আপনারা জাপানে যান। সেখানে গেলে উন্নত মানবিকবোধ শিখতে পারবেন। তবে ভাষা শিখে যাওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। জাপানিজ ভাষা শেখানোর প্রতিষ্ঠান টোকিও জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গতকাল বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ আজাদী টাওয়ারের নিজস্ব কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পাদক, একুশে পদকপ্রাপ্ত এম এ মালেক ও চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহী ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। টোকিও জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি আর. দানবীরের সভাপতিত্বে এবং রুপক বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও নাকাই মাসুমি ও চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. অর্থদর্শী বড়ুয়া। চবি পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষুসহ অন্যান্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, উদিত সূর্যের দেশ জাপান। যে কোনো শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করা উচিত। জাপানিজ ভাষা শেখাতে এখানে (চট্টগ্রামে) প্রথম শাখা খোলায় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। জাপানিজ ভাষা শেখানোর পাশাপাশি এখানে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ করা হবে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি আর. দানবীর বলেন, আমরা এখানকার তরুণ ও শিক্ষার্থীদের জাপানে পাঠানোর কাজ করবো। জাপানে পাঠিয়ে তাদের ভালো চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।