চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং দেশটির কিছু রাজনৈতিক নেতাদের আগ্রাসী মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেছেন, স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আওয়ামী দোসর ব্যতীত পুরো বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ। বীর চট্টলার দিকে ভারতীয় কিছু সস্তা মিডিয়া এবং চতুর্থ শ্রেণির নেতা লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে। এসব গেরুয়া সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নয়। এদের কারণেই আইনজীবী সাইফুলকে শহীদ হতে হয়েছে। আমরা চট্টগ্রামের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড়টাও উপড়ে ফেলতে চাই। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন–এনডিএম চট্টগ্রাম মহানগর কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন ববি হাজ্জাজ।
ববি হাজ্জাজ বলেন, সচিবালয়ের নাশকতায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে একদিনের মাথায় বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের ঘটনা প্রমাণ করে সরকার এখনো প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে নাই। এই অগ্নিকাণ্ডের পরেই আওয়ামী লীগের বিবৃতি, পলাতক খুনি জাহাঙ্গীর কবির নানকের ফেসবুক লাইভ বলে দিচ্ছে পরিকল্পিতভাবে হাসিনার দোসররা এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। প্রশাসনে আওয়ামী দৌরাত্ম্য কমে নাই মন্তব্য করে ববি হাজ্জাজ বলেন, ২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচনে যারা জেলা প্রশাসক–বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন তাদের এখনো স্বপদে বহাল রাখাই প্রমাণ করে জনপ্রশাসন এখনো আওয়ামী দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। এদের সাহস হয় কিভাবে চাকরিতে থেকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের পদত্যাগ দাবিতে আল্টিমেটাম দেবার? তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাসেল–রাফি–ওয়াসিমদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে যে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিলো আমরা তা গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। বীর চট্টলা আমাদের কখনোই হতাশ করে নাই। এই চট্টগ্রামের আর কখনো নওফেল–নাছিরদের মত সন্ত্রাসী–লুটেরাদের স্থান হবে না। এই চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দেশের সবচেয়ে বড় কওমী মাদ্রাসার সাথে মন্দিরের সহাবস্থান প্রমাণ করে বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই।
এনডিএম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এমরান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ, যুব আন্দোলনের সভাপতি আদনান সানি, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েলসহ চট্টগ্রাম মহানগরের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।