মানুষ সবসময় আপাদমস্তক ভেবেই জীবনে চলতে ভালোবাসে। তা যে যার বয়সের সীমায় চিন্তায় জীবনযাপন করে। দূরদর্শী চিন্তা করতে পারে এমন বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশলী মানুষ খুব কম জন্মায় তাও নয়। পৃথিবী চৌকস মানুষ দ্বারা এগিয়ে যায়। আর কিছু বোকাসোকা লোকের দ্বারা পৃথিবী পরিবারের অবনয়ন ঘটে। এই পরিস্থিতিতে হাল ধরার লোক তাই খুবই প্রয়োজন।
আমরা সামাজিক জীব। যদিও আমরাই সমাজ তৈরি করি এবং সাজাই। কিন্তু এরপর শুরু হয় সমাজের বিরাজমান নানা চিন্তার মানুষদের নিয়ে গবেষণা কে কী ভাববে তার ভয় আর আশংকা। আপনি দেখবেন সমাজে তাল মিলিয়ে চললে আপনি ভালো ও উদার মনের সৎ মানুষ। কিন্তু যে কাজটি ঘটে গেছে যেকোন ভাবে তার কঠিন সত্যটা দাঁড় করাতে গেলে শুরু হয় তার নামে নানা বদনাম ও সমাজ থেকে বিতাড়িত করার নানা অপকৌশলের আশ্রয়। সেই মানুষটি তখন কোথাও ঠাঁই না পেয়ে অবসাদে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।
জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আমরা বেগ পাই অচেনা অজানা পথে হাঁটছি বলে। অথচ এটা বুঝি না মায়ের গর্ভ থেকে আসার পর এ পৃথিবীর সবকিছুই আমাদের অচেনা অজানা ছিল। আমরা দৃঢ় অবস্থান জানান দিয়ে পরতে পরতে সব শিখছি এবং জানছি। একে অপরের আপন হচ্ছি। দেশ বিদেশ বলতে যা বুঝি সবই একটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভূখণ্ড মাত্র। আমরা মহাবিশ্বের দুর্গপ্রাচীরে এক ও অভিন্ন।
আমরা কেন এত ভয় পাই সামনে এগুতে? তার কারণ হলো মানুষের ভিতর মানবতা, বিনয়ী কোমল হৃদয় আজ অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। মানুষই হত্যা করছে মানুষকে অবলীলায়। বর্তমান ফিলিস্তিন ইসরায়েলের কিংবা রাশিয়া, ইউক্রেনের কথায় বলি। অহমিকা, ক্ষমতার দাপট দেখিয়েই চলেছি আমরা। অথচ একদিন মৃত্যুতে সব ছেড়ে চিরতরে চলে যাব।
মানুষকে মায়া ও ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকাই বর্তমান বিশ্বে শান্তির অনন্য উপায়। সেবাই পরম ব্রত হওয়া উচিত। মানুষের সাথে প্রকৃতির নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠলে নিশ্চিত হানাহানি অরাজকতা বন্ধ হবে। সম্পর্ক এগিয়ে যাবে তখন শান্তির বার্তা হয়ে। দূর থেকে কাছের হয়ে আপন আলোয় আলোকিত করবে পরিবার, সমাজ তথা গঠিত হবে একটি উন্নত জাতির শান্তির পৃথিবী।