ওরে রাশিদা বানু,
চল যাই প্রেমতলাতে; প্রসাদ খেয়ে আসি!
প্রেমতলাতে ঠাকুর প্রেমে সাধু বাজায় বাঁশি।
বাঁশির সুরে মন বসে না ; ক্লাস রুমে পড়তে!
শূন্য পড়ে থাক আজ দত্তবাড়ির বড়ুয়া মাসির হাসি।
ফরেস্ট অফিস, কালি বাড়ি, কালি মন্দির ফেলে
পায়ে পায়ে হেঁটে যাবো ধর্মশালার পাড়ে।
ধর্মশালার পুকুর ঘাটে বসবো আমরা পা ছড়িয়ে,
ছিটাবো জল চোখে– মুখে, একে অন্যের গায়ে।
ব্যসকুন্ডর ঐ মন্দির ফেলে ছুটবো সবাই ‘ওঁ‘ মন্দিরে,
সাধুর সাথে বসবো সবাই মন্ত্র পাঠের ক্লাসটাতে।
ছুটে ছুটে উঠবো পাহাড়, ছুঁবো সীতার আগুন কুন্ড,
চন্দ্রনাথের মন্দির দেখতে উঠে যাবো পাহাড় চূড়ায়!
আমরা আজ ঘর ছেড়েছি, ছেড়েছি স্কুল – ক্লাস সব।
বইয়ের পড়া বন্ধ থাকবে,
বন্ধ থাকবে নাওয়া– খাওয়া, সকল নিয়ম– কানুন।
আজ শুধু হুড়াহুড়ি, দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি যতো।
অমলকির বনে, পেয়ারা বাগান
আর মন গোঁটার রসে ভরাবো সময়,
সূর্য যতই নামুক পাটে।
আমরা আজ আর ছাত্র নই, ছাত্রী নই, হয়েছি –
পাখির বন্ধু, গাছের বন্ধু, ফুল – পাহাড় আর ঝর্ণার বন্ধু!