যন্ত্রণা হচ্ছে খুব, মানুষ নামের প্রাণী হওয়ার যন্ত্রণা। মাথা নিচু হয়ে আসছে, পাশের বাড়ির বিশ্বাসী কুকুরটার চোখে চোখ মিলাতে। মনটা ঘৃণায় বিষিয়ে উঠছে, একটি কাকের মৃত্যুতে হাজার কাকের শোকের বিলাপ ঐক্যবদ্ধতা দেখে। সংকীর্ণ বোধ হচ্ছে যখন দেখি চড়ুই আর পায়রাগুলো জোট বেঁধে একই পাত্রে শস্য খায়।
খুবই দরিদ্র লাগে, পশু পাখিগুলো সারাদিনের ব্যস্ততার পর যখন নিজ আবাসস্থলে ফিরে যায়, তাদের নেই বাড়তি সঞ্চয়ের চিন্তা, নেই কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা, নেই কারোকে ঠকিয়ে কোনো উচ্চ বিলাসী স্বপ্ন পূরণের অভিলাস।
খুবই অসহায় লাগে, যখন কোনো উচ্চ পদবী উচ্চ বংশ পরিচয় না থেকেও ওরা প্রাণোচ্ছল শান্তিময় থাকে।
তবুও ওরা কোনো কোনো সময় আতংকিত হয় আত্মরক্ষার জন্য। মানুষ নামক প্রাণীগুলো থেকে। অস্তিত্বহীন মনে হয়, সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু হিসেবে পরিচয়, ধর্মের বড় বড় পরিচয়, উচ্চ পদবীর পরিচয়, ক্ষমতার পরিচয় সব থেকেও যখন মানুষ বলে পরিচয় দিতে পারি না, তখন সত্যিই অস্তিত্বহীন মনে হয়। শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ যখন খুন, ধর্ষণ, হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার, কপটতা, প্রতারণা, জোর জুলুম দিয়ে প্রকাশ হয় তখন সত্যিই মানুষ নামের প্রাণী হওয়ার যন্ত্রণা হয়। হয়তো মানুষ ব্যতীত অন্য জীবকুল একদিন শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ করবে। আর উপহাস করে বলবে, তোমরাই তোমাদের শ্রেষ্ঠ করেছো, তোমরাই তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছো হীনকর্মে।










