মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ন্যায্য দাম নিয়ে নেই শঙ্কা। কৃষকরা উপযুক্ত মূল্য পেলে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবে। তাই কৃষকের মুখে অনাবিল হাসি।
উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চাষী সবুজ কুমার বলেন, মিঠাছরা বাজারেও এখনো ধানের দাম ভালই। পুরো মৌসুম আসা পর্যন্ত মূল্য না কমলে ঋণগ্রস্ত অনেক কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে। খৈয়াছরা ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুই কানি জমিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ পড়ে গেছে আবাদে। আশা করছি ঘরের খোরাকি রেখে এবার ভাল ধান বিক্রি করতে পারবো। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার মীরসরাই উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় কয়েক শত হেক্টর বেশি। এবার লক্ষ্যমাত্রা শত হাজার টন ধান। কৃষি বিভাগ আশা করছেন লক্ষ্যমাত্রা থেকেও বেশি ধান কৃষকরা ঘরে তুলবেন। কারণ ভালো বৃষ্টি ও অনুকূল পরিবেশ বেশ আশাপ্রদ করেছে সবাইকে।
উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, এবার প্রতি আড়ি (৫ কেজি) ধান ২৫০ টাকা প্রায়। গত বছর ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হলেও এখনো মাত্র ৫ শতাংশ ধান ঘরে উঠেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, এবার আমনের ফলন খুব ভাল হয়েছে। ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা বৃষ্টিপাত হওয়ায় ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপদ্রব ছিলো না। এতে করে ফলন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আমন আবাদের মতো ফলনেও এবার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। আবার কৃষকদের জন্য সরকার ও ন্যায্য দামে আমন সংগ্রহ করবে ।
সবমিলিয়ে উপজেলার কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন নবান্নের আনন্দের প্রহরই অপেক্ষা করছে। সবাই পিঠাপুলির প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই উঠানে উঠানে ধান আর শীতের পিঠা পায়েশের ধুমে মত্ত হবে সবাই।
