দেশের প্রচলিত ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস (লাইসেন্সিং ও কার্যপরিচালনা) বিধিমালা, এসআরও–১৮/২০০৮ অনুযায়ী বিদেশ থেকে কোনো ব্যবসায়ীর আমদানি পণ্য বন্দর ইয়ার্ড বা সিএফএস শেড পর্যন্ত আনার পূর্বের সব খরচ আমদানিকারকের মনোনীত ক্যারিয়ার বা নিয়োগপ্রাপ্ত ফরওয়ার্ডিং এজেন্টকেই বহন করতে হবে। এমন আইন থাকলেও বাস্তবে বন্দরের নানা খরচ আমদানিকারকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে, যা আইনের পরিপন্থী। তাই আইন অনুযায়ী বন্দরের সংশ্লিষ্ট খরচসমূহ ক্যারিয়ার বা নিয়োগপ্রাপ্ত ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট থেকে আদায় করার আহ্বান জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিএমসিসিআই)। সংগঠনটির প্রশ্ন, ক্যারিয়ার বা ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের খরচ কেন আমদানিকারকের ঘাড়ে চাপানো হবে? গত ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে সংগঠনটির সহসভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে এই আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস (লাইসেন্সিং ও কার্যপরিচালনা) বিধিমালার ১৩(ঘ) ও ২০(৩) স্পষ্টভাবে বলছে, বিল অব লেডিংয়ে (বি/এল) যদি ফ্রেইট ‘প্রিপেইড’ উল্লেখ থাকে এবং ডেলিভারি স্থান কোনো সিওয়াই, সিএফএস বা নির্দিষ্ট বন্দর ইয়ার্ড হয়, তবে ওই স্থান পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের লিফট অন/অফ, রিভার ডিউস, আনস্টাফিংসহ সব খরচ ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট বা ক্যারিয়ারকেই বহন করতে হবে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব খরচ ক্যারিয়ার বা এজেন্টের কাছ থেকে না নিয়ে আমদানিকারকের কাছ থেকে আদায় করছে, যা আইনের লঙ্ঘন। এর ফলে অপ্রয়োজনীয়ভাবে আমদানি ব্যয় বাড়ছে, যা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ব্যবসা–বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন (চ্যাপ্টার–১৭) অনুযায়ী, এজেন্টদের বিদেশ থেকে তাদের সার্ভিস চার্জ ও কমিশন দেশে আনতে বাধ্য করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কার্যকর হলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে এবং আমদানির ব্যয় কমবে। ফলে বাজারে দ্রব্যমূল্য হ্র্রাস এবং রপ্তানি শিল্পে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।
চিঠিতে বন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়, আইন অনুযায়ী ইয়ার্ড বা সিএফএস পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের খরচ আমদানিকারকের কাছ থেকে না নিয়ে ক্যারিয়ার বা তাদের ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের কাছ থেকে আদায় করা হয়। জাতীয় স্বার্থে এ নিয়ম কার্যকর হলে আমদানি ব্যয় কমবে এবং দেশের অর্থনীতি আরো সুদৃঢ় হবে বলে বিশ্বাস করে মেট্রোপলিটন চেম্বার।












