চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবে একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, আমদানি করা ফলের চেয়ে দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। বর্তমান প্রজন্মের নাগরিক বিশেষ করে শহরের বাসিন্দারা দেশের অনেক ফলের সাথে অপরিচিত। নতুন প্রজন্মকে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দেশি ফলের সাথে পরিচিত করা এবং খাওয়ার ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে সকলকে সাধ্যমতো ফলের গাছ লাগাতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের ফলের চাহিদা পূরণ হবে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি ওসমান গনি মনসুর। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেন, ক্লাবের সদস্যদের সন্তানদেরকে আবহমান বাংলার মৌসুমি ফলের পরিচয় করিয়ে দিতে ও ফল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই ফল উৎসব আয়োজন করা হয়। প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য এন টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, দৈনিক কালের কণ্ঠ চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এক সময় দেশের গ্রামে গঞ্জে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যেতো। কালের পরিক্রমায় বহু ফল হারিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলের জায়গায় এখন আমদানি করা ফল বাজার দখল করে নিয়েছে। দেশের বিলুপ্তপ্রায় ফলগুলো কিভাবে
আবার ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে দেশের কৃষি গবেষণা বিভাগের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে করে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এসব ফলের সাথে আমাদের নতুন প্রজন্ম পরিচিত হতে পারবে। প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দেশি ফলের উৎসবে প্রেস ক্লাবের সদস্যদের পরিবার সন্তান ও অভিভাবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ফল উৎসবে আম, কাঁঠাল, কলা, আনারস, জাম, লিচু, লটকন, বত্তা বা ডেউয়া, পানিগোটাসহ বিভিন্ন রকমের দেশীয় ফল স্থান পায়। অনুষ্ঠানে সদস্যদের সন্তানদেরকে পরিচয় করানো হয় সবগুলো ফলের সঙ্গে। কোন ফলের কী উপকারিতা তাও তুলে ধরা হয় আলোচনায়।