চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমছে চিনির দাম। গত এক সপ্তাহ আগে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে মণপ্রতি (৩৭.৩২ কেজি) চিনি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮৫০ টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়ছে ১০৩ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮৯০ টাকায়। প্রতি মণে দাম কমেছে ৪০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা চিনি মণপ্রতি ৫০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮২০ টাকায়। কেজি হিসেবে দাম পড়ছে ১০২ টাকা।
চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশের শিল্পগ্রুপ ছাড়াও এখন ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে চিনি আমদানি করছেন। আমদানি উন্মুক্ত হওয়ায় চিনির দাম কমতে শুরু করেছে। এদিকে পাইকারি কমলেও খুচরা বাজারে এখনো চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৬–১১৭ টাকায়। অর্থাৎ পাইকারির তুলনায় ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি।
নগরীর দামপাড়া এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রানা বলেন, আমরা প্রতি কেজি ১১৬–১১৭ টাকায় বিক্রি করছি। পাইকারিতে প্রতিনিয়ত পণ্যের দাম ওঠানামা করে। সেখানে বাজারটা সেভাবে নির্ধারিত হয়। আমরা অল্প অল্প চিনি এনে বিক্রি করি। বলা যায়, সীমিত লাভে চিনি বিক্রি করে থাকি।
চাক্তাই–খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, চিনির সরবরাহ বাড়ার কারণে দামের ওপর প্রভাব পড়েছে। পাইকারি বাজারে চিনির কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণত চিনির দাম বাড়লে সিন্ডিকেটের কারসাজির অভিযোগ ওঠে। আসলে শুধু চিনি নয়, ভোগ্যপণ্যের দাম ওঠানামা করে চাহিদা ও যোগানের ওপর। এখন সরবরাহ বেড়েছে তাই দাম কমছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুটিকয়েক শিল্পগ্রুপ ছাড়া বাকিরা চিনি আমদানি করতে পারতেন না। বলতে গেলে আমদানির অনুকূল পরিবেশ ছিল না। এখন ভারত পাকিস্তান থেকে বৈধভাবে চিনি আমদানি হচ্ছে। যার ফলে দামও কমছে।