আমদানির চালের দাম আবার চড়া

এলসি খোলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ায় আবারও বেড়েছে আমদানির চালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কমার জেরে ভারতের স্থলবন্দরগুলোতে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধুমাত্র ভারতীয় বেতী আতপ চালের দাম বস্তায় বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

তবে ভোক্তারা বলছেন, চালের বাজার দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। অথচ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের এদিকে নজর নেই। এখন শুনছি চালের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। আমাদের ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের পকেট কাটার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করান। সুতরাং সাধারণ ভোক্তা শ্রেণীর কথা চিন্তা করে চালের বাজারে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।

চাক্তাই চালপট্টির আড়তদাররা জানান, বর্তমানে ভারতীয় বেতী আতপ চাল ৫০ কেজি বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৮০ টাকায়। এছাড়া কাটারিভোগ আতপ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ টাকা, কাটারিভোগ সিদ্ধ ১৫০ টাকা কমে বিক্রি ৩ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেতী আতপ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও পাইজাম আতপ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। অন্যদিকে পাইজাম সিদ্ধ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। এছাড়া স্বর্ণা সিদ্ধ ২ হাজার ৭০০ টাকা, নাজিরশাইল ৩ হাজার ৮০০ টাকা, মোটা সিদ্ধ ২ হাজার ২০০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ৩ হাজার ৬৫০ টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ ৩ হাজার ৫০ টাকা এবং মিনিকেট আতপ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮৫০ টাকায়।

চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উল্লাহ বলেন, ডলার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে ব্যাংক এলসি দিচ্ছে না। ফলে আমদানির চালের বাজার চড়া। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে।

চাক্তাইয়ের রাইয়ান ট্রেডিংয়ের চাল বিক্রেতা সরোয়ার চৌধুরী বলেন, আমদানির চালের সরবরাহ কম। শুনেছি আমদানি কমে গেছে। তাই দামের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলকদর খালে স্লুইসগেটের ফটকে স্থাপনা নির্মাণ
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে আকাশমনি ও সেগুনগাছ কাটলো দুর্বৃত্তরা