আব্বাকে স্মরণ

কাইয়ুম ইবনে আইয়ুব | শুক্রবার , ১৬ জুন, ২০২৩ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

মুহাম্মদ আইয়ুব আলী। আমার বাবা। তিনি রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা কদমতলী গ্রামে মালেক আবদুল মিয়া ও বেগম সিরাজ খাতুনের ঘরে ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে চন্দ্রঘোনা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিক পাশ করে রাঙ্গুনিয়া কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়া অবস্থায় ব্যবসায় নেমে পড়েন।

ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি পারিবারিক কৃষিকাজ অব্যাহত রাখেন। এবং ঘর ও সংসারের কাজে মনোনিবেশ করেন। পরবর্তীতে ব্যবসা বাণিজ্যে সুবিধা করতে না পেরে বিদেশে পাড়ি জমান। বেশ কিছুদিন বিদেশের মাঠিতে অবস্থান করেন এবং রেমিটেন্স আহরণ করেন। পরবর্তীতে দেশে ফিরে এসে ব্যবসা বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে জানতেন তন্মধ্যে বাংলা, ইংরেজী, আরবী, উর্দু ও হিন্দি। তিনি নম্র ভাষাভাষীর মানুষ ছিলেন, সকলের সাথে নম্র ও নরম সুরে কথা বলতেন, অমায়িক ব্যবহারের জন্য সকলেই তাকে খুব পছন্দ করতেন। তিনি স্বাধীনচেতা ও স্পষ্ট ভাষী ছিলেন, সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ছিলেন।

ছোটবেলা থেকে কখনো নামাজ তরক করতেন না। খুবই ধর্ম পরায়ন ছিলেন, সৎ ব্যক্তি ছিলেন, মসজিদে আজান দিতেন, ইমামতিও করতেন। ২০১৭ সালে স্বস্ত্রীক হজ্ব পালন করেন। তিনি হুজুর কেবলা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়য়ব শাহ(রহ) র মুরীদ ছিলেন। দেশে বিদেশে তার সামর্থ্য অনুসারে সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করতেন। মসজিদ মাদ্রাসা মক্তব, স্কুল কলেজ দান করতেন অকাতরে, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সবার বিপদে আপদে ঝাপিয়ে পড়তেন। সকলকে ভালোবাসতেন।

তিনি গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ড সহ সভাপতি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য, মালেক সওদাগর বাড়ী জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০২২ সালের ১৮ জুন (শনিবার) আমাদের ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আব্বাজানকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মকাম দান করুন। আমিন

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুরাদপুর ভায়া হাটহাজারী সড়কের বেহাল দশা
পরবর্তী নিবন্ধকর্তৃত্ব