‘এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া, এত যত্নে গড়াইয়াছেন সাঁই’, ‘পরের জায়গা পরের জমিন, ঘর বানাইয়া আমি রই’, অথবা ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’র মত মাটির সুর মেশানো কালোত্তীর্ণ গানগুলোর গায়ক আব্দুল আলীমের পাঁচ শতাধিক গানের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সংরক্ষণে নেই। খবর বিডিনিউজের।
তবে তার আড়াইশ থেকে তিনশর মত গান লিপিবদ্ধ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। ভাটিয়ালি, আধ্যাত্মিক, মরমি ও মুর্শিদি গানের জন্য কিংবদন্তী এই গায়কের মৃত্যুর ৫০তম বার্ষিকীতে এসে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে গ্লিটজের।
আব্দুল আলীমের বড় ছেলে শিল্পী জহির আলীম ও মেয়ে নূরজাহান আলীমের আফসোস, তাদের বাবার সংগীতসম্ভারের বহু গান এখনো অনাবিষ্কৃত রয়েছে। রেডিও পাকিস্তানের মহাফেজখানায় তার বহু গান অযত্নে পড়ে আছে। কূটনৈতিক জটিলতায় স্বাধীনতার পর প্রায় পাঁচ দশকেও আলীমের সেসব গান ফেরানো যায়নি। প্রায় এক বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে চিঠি চালাচালির পর গত বছর আবদুল আলীমের ১২টি গান হাতে পেয়েছে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাই কমিশন।
কিন্তু আব্দুল আলীমের গানের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো পৃষ্ঠপোষকতা মেলে না বলেও আক্ষেপ রয়েছে তার সন্তানদের। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম হয় আব্দুল আলীমের।
মৃত্যু ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়। সাতচল্লিশে দেশভাগের পর আব্দুল আলীম মুর্শিদাবাদ থেকে ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে থাকেন। সেই গল্প শোনা গেল তার ছেলে অধ্যাপক ও গায়ক জহির আলীমের কাছে।