আবৃত্তি চর্চাকে শিল্প রূপে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বোধন

তিন যুগ পূর্তি উৎসব

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

আজ থেকে ৩৬ বছর আগে যাত্রা শুরু করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ। বোধনের তিন যুগ পূর্তি উৎসবে শুভেচ্ছা জানাতে এসে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য আজ নানাভাবে আক্রান্ত, ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত। এ প্রতিকূল সময়ে আবৃত্তি চর্চাকে শিল্প রূপে প্রতিষ্ঠায় ৩৬ বছর ধরে সংগ্রাম করে চলেছে বোধন। তারা মনের তাগিদে কবিতাকে ভালোবেসে আবৃত্তি চর্চা করে যান। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাক যুগ যুগ ধরে। তিন যুগে পদার্পণ উপলক্ষে দেশের অন্যতম আবৃত্তি সংগঠন বোধন আবৃত্তি পরিষদ, চট্টগ্রাম দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আয়োজনের প্রথম দিন গতকাল রোববার ‘ধ্বনির সম্পদ আছে আমাদের চেতনার গভীরে; যে ধ্বনিতে দীপ্ত হয় চিরচেনা প্রিয় কন্ঠস্বর’ শিরোনামে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৪ টায় বর্ণীল শোভাযাত্রা ও অতিথিদের প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সূচনা হয়। একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বোধনের সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরীর সঞ্চালনায় কথামালায় আরও অংশ নেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, অধ্যক্ষ রিতা দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, একুশে পদক প্রাপ্ত নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার, অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্তা, কবি উৎপল কান্তি বড়ুয়া ও কবি জিন্নাহ চৌধুরী।
অতিথিরা বলেন, বোধনের সাহসী পথচলায় তারা অনেক কঠিন সময় পার করেছে, অসাম্প্রদায়িক আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখায় বোধন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন মুনির হেলাল, সুপ্রতীম বড়ুয়া, সুজিত চক্রবর্তী, নান্টু বড়ুয়া, সজল চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী মুজাহিদুল ইসলাম, কবি মিলন মিত্র, সালমা মিলি, সমাজকর্মী শিহাব চৌধুরী বিপ্লব, শুভ্রা বিশ্বাস, অনুপ সাহা, দেওয়ান মাকসুদ ও মনিরা ইসলাম মুন্নি। বোধনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় উচ্চারক, দৃষ্টি চট্টগ্রাম, একুশ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন আবৃত্তি সংগঠন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শ্রেয়সী রায়, মন্দিরা চৌধুরী, দেবলিনা চৌধুরী, আরিফা সিদ্দিকী, এ্যানি গুহ এবং নুসরাত রিনি। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধনের শিশু বিভাগ। একক আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধনের আবৃত্তি শিল্পী রাজিউর রহমান বিতান, শাওন ইসলাম, প্রজ্ঞা পারমিতা সেনগুপ্তা, মৃত্তিকা চক্রবর্তী, তূর্ণা দাশ এবং সেতার রুদ্র ঈশিতা। সংগীত শিল্পী মিতালি রায় ও তার দলের অংশগ্রহণে বোধনকে নিবেদিত সংগীত পরিবেশিত হয়। আয়োজনে ৫টি গ্রীনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী পন্ডিত সুদর্শন দাশ তবলা লহড়ার মূর্ছনায় মাতিয়ে তোলেন। নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তীর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে ওডিসি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের ওরিয়েন্টেশন
পরবর্তী নিবন্ধবিশেষ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি