আবৃত্তিশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। গতকাল শুক্রবার বেলা ২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। খবর বাসসের।
২০২১ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে প্রায় ৪ মাস আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন হাসান আরিফ। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ডিসেম্বর থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন। এরপর আর তার শরীরের উন্নতি ঘটেনি। অবশেষে তো চলেই গেলেন।’ হাসান আরিফ কুমিল্লা জেলায় ১৯৬৫ সালে ৮ ডিসেম্বর নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম রওশন আরা। বাবা প্রয়াত আবুল ফজল মো. মফিজুল হক। ১৯৮৩ সালে স্বরিত আবৃত্তিচক্র নামে একটি সংগঠন চালু করেন হাসান আরিফ। এর মাধ্যমে সংগঠনভিত্তিক আবৃত্তি চর্চার শুরুর দিকে আবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। এছাড়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাংগঠনিক আবৃত্তিচর্চা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
