আবুল হাসান : নিঃসঙ্গতার কবি

| মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

আবুল হাসান(১৯৪৭১৯৭৫)। একজন আধুনিক কবি ও সাংবাদিক। তিনি ষাটের দশকের জনপ্রিয় কবিদের একজন। স্বল্প পরিসর জীবনে তাঁর কাব্য সাধনার ব্যাপ্তি মাত্র এক দশক। কিন্তু এই এক দশকেই বাংলা কবিতার জগতে এক বিশিষ্ট স্থান করে নিয়েছেন আবুল হাসান। তার প্রকৃত নাম আবুল হোসেন মিয়া আর সাহিত্যিক নাম আবুল হাসান। তিনি ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ঠা আগষ্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার বর্ণি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বি.এ শ্রেণিতে ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষা শেষ না করেই ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তাবিভাগে যোগদান করেন। পরে তিনি গণবাংলা (১৯৭২১৯৭৩) এবং দৈনিক জনপদ(১৯৭৩৭৪) সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আবুল হাসান অল্প বয়সেই একজন সৃজনশীল কবি হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। মাত্র এক দশকের কাব্যসাধনায় তিনি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। আত্মত্যাগ, দুঃখবোধ, মৃত্যুচেতনা, বিচ্ছিন্নতাবোধ, নিঃসঙ্গচেতনা, স্মৃতিমুগ্ধতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবুল হাসানের কবিতায সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। আবুল হাসানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : ‘রাজা যায় রাজা আসে’, ‘যে তুমি হরণ করো’, ‘পৃথক পালঙ্ক’; কাব্যনাট্য ‘ওরা কয়েকজন’; গল্প সংকলন ‘আবুল হাসান গল্প সংগ্রহ’ ইত্যাদি। তেইশ বছর বয়সে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে এশীয় কবিতা উৎসবে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন কবি আবুল হাসান। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ শে নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাহিত্যে স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে কবিতায় মরণোত্তর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন কবি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধদুর্দান্ত জয়ে স্বরূপে ফিরল বাংলা টাইগার্স