নীরবে চলছে নতুন মৌসুমে ঢাকার ফুটবলে দলবদল। যদিও কোনও দল নিবন্ধন প্রক্রিয়াতে নাম লেখায়নি। তবে ভেতরে ভেতরে খেলোয়াড়দের দলে নেওয়ার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত বড় চমক দেখিয়েছে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেড। দুই তরুণ সেনশেসন শেখ মোরসালিন ও আল আমিনকে এরই মধ্যে দলভুক্ত করে ফেলেছে আকাশী–নীল জার্সিধারীরা। গতকাল থেকে এএফসি কাপের জন্য আবাহনীর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগের বেশিরভাগ খেলোয়াড়দের রেখে দিয়ে তাদের সঙ্গে মোরসালিন ও আল আমিনকে যুক্ত করা হয়েছে। বসুন্ধরা কিংসের ঘরের খেলোয়াড় ছিলেন শেখ মোরসালিন। এই মৌসুমে বাইন্ডিংস মুক্ত হয়েছেন। ধারে মোহামেডানে খেলে ক্যারিয়ারের শুরুতে পাদপ্রদীপের আলোতে এসেছিলেন মোরসালিন। তারপর কিংসে ফিরে নিজেকে আরও মেলে ধরেছেন।
জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে সময় লাগেনি। গোলও পেয়েছেন। তবে ব্যক্তিগত কারণে গত মৌসুমে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। এবার গেম টাইম ও আর্থিক কারণে আবাহনীতে এসেছেন। অন্য দিকে পুলিশ এফসির হয়ে গত মৌসুমে সুনাম কাড়েন আল আমিন। কাবরেরার দলেও জায়গা করে নেন। এবার আবাহনীর হয়ে মাঠ মাতানোর মিশন দিনাজপুর থেকে উঠে আসা ফরোয়ার্ডের।
দিনাজপুর থেকে আল আমিন উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেছেন, ‘আমি আবাহনীতে খেলবো। একদিন পরই ক্লাবে আসছি। আবাহনীর মতো দলে খেলাটা আনন্দের বিষয়। দেশের অন্যতম সমর্থকপুষ্ট দল। এবার নতুন দলের হয়ে সাফল্য পাওয়াটা হবে বড় চ্যালেঞ্জের। আমি মাঠে খেলতে চাই। খেলেই দলকে সহায়তা করতে চাই।’ কোচ মারুফুল হকের অধীনে মাঠের অনুশীলন শুরু হচ্ছে। আবাহনী মাঠে আপাতত লক্ষ্য এএফসি কাপের বাছাই পর্ব। ১২ আগস্ট ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে কিরগিজস্তানের দল মুরাস ইউনাইটেডের বিপক্ষে লড়বে। মোহামেডান থেকে এবার মালির স্ট্রাইকার সুলেমানে দিয়াবাতেকে দলভুক্ত করার কথা রয়েছে।