লোহাগাড়ায় অরক্ষিত অবস্থায় অবৈধভাবে আবাসিক এলাকায় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রাখা ও ফায়ার সেফটি বিষয়ক নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যবসা করায় দুই ব্যক্তিকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার চুনতি ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের কালু সিকদার পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ফেনীর ফুলগাজী হাশানপুরের খন্দকার বাড়ির নুর নবীর পুত্র রহিমা এন্ড মাম্মি এন্টারপ্রাইজ নামক ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. শাহিনকে ২ লাখ টাকা ও চুনতি এলাকার আব্দুল গাফফার সিদ্দিকীর পুত্র আবুল আলা সিদ্দিকীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা যায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে কালু সিকদার পাড়ায় মো. শাহিনের মালিকানাধীন মাম্মি এন্টারপ্রাইজ নামক ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তার গোডাউনে অবৈধভাবে মজুদ রাখা প্রায় ৮ হাজার পিস এলপি গ্যাস সিলিন্ডার অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কোন লাইসেন্স নেই। এছাড়া আবাসিক এলাকায় অরক্ষিত অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ ও বিপণন করার অপরাধে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অপরদিকে, লোহাগাড়া ডেপু নামক একটি প্রতিষ্ঠান ফায়ার সেফটি বিষয়ক নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যবসা করায় আবুল আলা সিদ্দিকীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি দল অভিযুক্তকে ফায়ার সেফটি বিষয়ক নীতিমালা মেনে চলার নির্দেশ দেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান।
তিনি জানান, আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৮ হাজার পিস এলপি গ্যাস সিলিন্ডার আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত শাহিন লাইসেন্স ব্যাতীত আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ করবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া সেনা ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার নীল মনি, লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা রুবেল আলম, এনএসআই এবং তাদের প্রতিনিধি দল ।