মাস দুয়েক মোটামুটি শান্ত ছিল। এরপর আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। চিহ্নিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে গতকাল রোববার ১ রোহিঙ্গা নিহতের পাশাপাশি আরও অন্তত ২৫ জন রোহিঙ্গা আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার ভোরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নুর হাকিম (৩৮) ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা।
জানা গেছে, টেকনাফের ২১ নং চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) জানিয়েছে, উক্ত ক্যাম্পের হেড মাঝি তোহার লোকজন ও অপর সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ডাকাত দলের মধ্যে রোববার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত এবং ২৫ জনের মতো আহত হয়েছে। এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে এপিবিএন ক্যাম্প থেকে নিজ বাসায় ফেরার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হেড মাঝি তোহার ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে তোহাসহ ২ জন আহত হন। আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাধারণ রোহিঙ্গাদের অভিমত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ওই রাতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে গত কয়েক দিন ধরে উক্ত ক্যাম্পে উত্তেজনা চলছে।
চাকমারকূল ২১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএনের ইন্সপেক্টর মনির হোসেন জানান, ক্যাম্পে দুই ডাকাত দলের মধ্য গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা গেছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি এবং টেকনাফ চাকমারকূল রোহিঙ্গা শিবিরের সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) সাধন ত্রিপুরা শিবিরে গোলাগুলির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।