নগরীর পাহাড়তলীতে শত বছরের প্রাচীন বেশ বড়সড় একটি পুকুর রয়েছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে রাতে দিনে পুকুরটি ভরাট করার কার্যক্রম চলছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পাহাড়তলীর ঢাকা-চট্টগ্রাম স্ট্যান্ড রোডের নুরুল আলম সিএনজির পাশের গলিস্থ পুকুরটি স্থানীয়রা ব্যবহার করে থাকেন। ইতোপূর্বেও পুকুরটি ভরাট করে দোকানঘর এবং ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হয়েছিল। গত কিছুদিন ধরে আবারো পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। পুকুর ভরাটে মাটির পাশাপাশি বিভিন্ন ভবনের ভাঙা বর্জ্য এনে পুকুরে ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করেও পুকুর ভরাটের অপতৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
গতকাল স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বড় পুকুরটি বেশ কৌশলে ভরাট করা হচ্ছে। ট্রাকে ট্রাকে মাটি ও বিভিন্ন ভবন ভাঙা বর্জ্য এনে পুকুরে ফেলা হচ্ছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই একটি দোকানের সারি, আর এই দোকানের পেছনেই প্রাচীন পুকুরটির অবস্থান। দোকানের আড়ালে দিনে রাতে পুকুর ভরাটের মহোৎসব চলছে। বর্তমানে পুকুরটি ভরাট করে দোকান এবং ওয়ার্কশপ সম্প্রসারণ করা হবে বলেও স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলা হয়েছে আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, পরিবেশ আইনে পুকুর এবং জলাশয় ভরাট পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্নভাবে পুকুর ভরাটের কার্যক্রম চলে। ইতোমধ্যে নগরীসহ চট্টগ্রামের অন্তত বিশ হাজার পুকুর ভরাট করে ফেলা হয়েছে।