হোক না সেটা বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপ। ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ মানে ভারতের জয়। এ যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আরো একবার সে নিয়ম ভাঙতে পারল না পাকিস্তান। পাক–ভারত ম্যাচ মানে পাকিস্তানের অসহায় আত্মসমর্পণ। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে সহজ জয়ের পর সুপার ফোর পর্বেও সহজ জয় তুলে নিল ভারত। ফলে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না পাকিস্তান।
গতরাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ফলে একই টুর্নামেন্টে টানা দুইবার পাকিস্তানকে হারাল ভারত। এই জয়ের ফলে এবারের এশিয়া কাপে টানা চার ম্যাচে জিতে একমাত্র অজেয় দল এখন ভারত। দুর্দান্ত জয়ে ভারত ফাইনালের দিকে এগিয়ে গেলেও পাকিস্তান পড়ল পিছিয়ে। এখন পরের দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে থাকতে পারে কিনা পাকিস্তান সেটাই দেখার।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ২১ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৯ বলে ১৫ রান করে ফিরেন ফখর জামান। আগের তিন ম্যাচে রানের খাতা খুলতে না পারা সাইম আইয়ুব ভাল কিছু করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না এ ম্যাচেও। ফারহানের সাথে ৭২ রান যোগ করে সাইম আইয়ুব ফিরেন ১৭ বলে ২১ রান করে। ১০ ওভার শেষে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১ উইকেটে ৯১ রান। হুসাইন তালাত এসেও পারেননি ১০ রানের বেশি করতে। কুলদীপ যাদবকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ফিরেন তিনি। এরপর পাকিস্তানকে বড় ধাক্কাটা দেন শিভম দুবে। ইনিংসের শুরু থেকে লড়াই করা ফারহানকে ফেরান দুবে। ৪৫ বলে ৫টি চার এবং তিনটি ছক্কায় ৫৮ রান করেন তিনি। এরপর রানের গতি ক্রমশ কমতে থাকে পাকিস্তানের। নেওয়াজ এবং সালমান আলি আগা মিলে রানে গতি আনার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ৩৪ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দুজন। ১৯ বলে ২১ রান করে রান আউট হন নেওয়াজ। শেষ ওভারে ফাহিম আশরাফের ছক্কায় ১৭১ রানে থামে পাকিস্তান। ৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাহিম। ১৩ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সালমান আলি আগা।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তুলতে থাকেন শুভমান গিল এবং অভিষেক শর্মা। ৯.৫ ওভারে ১০৫ রান তুলে ফেলেন দুজন। ২৮ বলে ৪৭ রান করা গিলকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন ফাহিম আশরাফ। পরের ওভারে অধিনায়ক সুরিয়া কুমার যাদবকে ফেরান হারিস রউফ। শুরু থেকে ঝড় তুলতে থাকা অভিষেক শর্মাকে থামান আবরার। ৩৯ বলে ৬টি চার এবং ৫টি ছক্কায় ৭৪ রান করে ফিরেন এই ওপেনার। সঞ্জু স্যামসনকে ফেরান হারিস রউফ। তবে তিলক ভার্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়া মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ১৯ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক ভার্মা।