সরবরাহ সংকটের অজুহাতে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ গত এক সপ্তাহ কমে গেছে। ফলে পেঁয়াজের বাজার বাড়তি। তবে ভোক্তারা বলছেন, প্রতি বছর বছরের শেষের দিকে ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে বাজার দর উঠানামা করায়। অথচ বাজারে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। গতকাল চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০–৪৫ টাকায়। অন্যদিকে আরেক ক্যাটাগরির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫–৪০ টাকায়।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি–১ (তাহেরপুরী), বারি–২ (রবি মৌসুম), বারি–৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের কিছুটা সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে। ফলে দাম উর্ধ্বমুখী রয়েছে। পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য চাইলেই বেশিদিন মজুদ করে রাখা যায় না। তাই যারা পেঁয়াজ সিন্ডিকেট কারসাজির অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এছাড়া সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে।
কিন্তু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করছেন। প্রশাসনকে অনুরোধ করবো, যাতে নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে পেঁয়াজের দামের লাগাম টানা হয়।