স্থানীয় ইতিহাস রচনা সনাতন/ ধ্রুপদী ইতিহাস চর্চার, মানববিদ্যার জ্ঞানের জগতে বিচরণের এক নতুন সড়ক। ইতিহাসের নিষ্ঠাপূর্ণ অধ্যয়নে তাই এখন সমাজবিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব, ভূগোল, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্য – সংস্কৃতির বিমিশ্র পঠন – পাঠন আত্মীকৃত, – একাধিক বা বহু বিষয়ের পারস্পরিক নির্ভরতায় সমর্পিত।
উনিশ শতকের শেষার্ধে আঞ্চলিক বা স্থানীয় ইতিহাস লেখার একটা প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শাসক / কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক প্রয়োজন জিলা গেজেটিয়ার ধরনের পুস্তক রচনার ধারাকে শক্তি যোগায়। এর বাস্তব প্রমাণ মেলে জেম্স টেলরের ‘ঢাকা’, বুকাননের ‘দিনাজপুর’ হেনরি বেভারিজের ‘বাখেরগঞ্জ’ ও কটনের ‘চিটাগাং’ এর প্রকাশনায়। W.W. Hunter এর Statistical Accounts of Bengalএবং পরে তাঁর আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্রিটিশ প্রশাসনকে বহুমাত্রিক তথ্য ও পরামর্শ প্রদান করে।
এই শতাব্দীর শেষভাগে দেশীয় ঐতিহাসিক, গবেষক, পুরাতত্ত্ববিদ এবং সাধারণ জ্ঞানপিপাসু মনীষীদের আগ্রহে আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার ধারা ব্যাপকতা লাভ করে। আঞ্চলিক ইতিহাস স্বভাবত খন্ডিত হতে পারে। যে কোন ক্ষেত্রের মতো এখানেও মানুষের শক্তি–সামর্থ্যের সীমা আছে। চট্টগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে দিনাজপুরের, সিলেটের সঙ্গে রাজশাহীর, বরিশালের সঙ্গে মৈমন সিংহের ভূ–প্রকৃতি, লোক সংস্কৃতি, আর্থসামাজিক অবস্থার চিত্রাবলি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত হওয়াই ন্যায্য বাস্তবতা। তাই, আমাদের মাতৃভূমির সম্পূর্ণ ইতিহাস রচনায় সব আঞ্চলিক ইতিহাসের ভিন্নতা ও বৈচিত্র সু–সমন্বিত হলেই তথ্যনিষ্ঠ, সত্যাশ্রয়ী ও নৈর্ব্যক্তিক জাতীয় ইতিহাস প্রণীত হবে।
আবদুল হক চৌধুরীর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা ১২টি। বিষয় অনুযায়ী শ্রেণিকরণে এ সংখ্যা ৬ হওয়া সঙ্গত বলে বিবেচনা করেন ড. আহমদ শরীফ। চৌধুরীর এই অকৃত্রিম, শুভার্থীর বিবেচনায় ওসব গ্রন্থের কোনটি অন্য গ্রন্থের পরিবর্ধিত সংস্করন, এগুলো বরং পরিবর্তিত বা পরিপূরক অংশ বলা ভালো। চৌধুরীর লিখিত প্রবন্ধ, আলোচনা, কথিকা ইত্যাদির সংখ্যা বিপুল। অনেকগুলো অমুদ্রিত।
এখানে চৌধুরীর জন্য গৌরব ও খ্যাতির বিষয় হলো–তাঁর রচিত গ্রন্থের এক তৃতীয়াংশ বাংলাদেশের সম্ভ্রান্ত জাতীয় প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত। তাঁর প্রবন্ধের উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকাশিত বাংলা একাডেমি গবেষণা পত্রিকায়।
আবদুল হক চৌধুরীর গবেষণার কেন্দ্র প্রধানত চট্টগ্রাম। তাঁর তিন দশকের অধ্যয়ন, অনুসন্ধান ও নিরীক্ষার ফসল ‘চট্টগ্রামের ইতিহাস প্রসঙ্গ’ (১৯৭৬)। চট্টগ্রাম নামের উৎস, পরিচিতি – এসবের ঐতিহাসিকতা, প্রাচীন বিবরণ, বৈশিষ্ট্য থেকে লেখক একটি সমর্থনযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন। দীর্ঘ ৪ শতকের (১৪শ–১৭শ) বিস্তারিত তথ্যরাশি পর্যবেক্ষণ করে চৌধুরী নিজে উপকৃত হয়েছেন, – আমাদের জ্ঞানের পরিধিকেও সম্প্রসারিত করেছেন। চট্টগ্রামের প্রাচীন ইমারতগুলো পোর্তুগীজদের নির্মিত না ইংরেজের – এ বিতর্ক খুব উপভোগ্য ও কৌতুহল উদ্দীপক। ড. আবদুল করিম এই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে তা আরও সরেস ও প্রাণবন্ত করেছেন।
আবদুল হক চৌধুরী তাঁর চারদিকে ছড়িয়ে থাকা মানুষের, তাদের জীবন বৈচিত্র্যের, ইতিহাসের বিচিত্র তথ্য উদ্ধারের, প্রচলিত মত, শিলালিপি, লোকশ্রুতি ইত্যাদি নিবেদিত চিত্তে দীর্ঘ দিন ধরে সংগ্রহ করেছেন। বিচারন করেছেন নির্মোহ যুক্তি প্রমাণ দিয়ে। তাই স্বচ্ছতা ও সত্যনিষ্ঠায় তাঁর আলোচনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। অভীষ্ট লক্ষ তাঁর পথ সহজ করেনা। কিন্তু কষ্টের পথ পরিক্রমা শেষে অভীষ্ট লক্ষ তাঁকে অভিনন্দন জানায়। বিস্মৃত কবি, অনিশ্চিত রাজ কাহিনী, ভ্রান্ত ভূগোল, ভাষাতত্ত্বের জটিল গলিপথ তাঁর আগ্রহের বিষয়।
কবি আজগর আলী পন্ডিতের দুর্লভ পুথি, কাঁহার সম্প্রদায়ের বাৎ–চিতের বৈশিষ্ট্য, সন্দীপের ভাষার নানা সামাজিক রূপ, কর্ণফুলি নদীর নামের উৎপত্তি (নতুন তথ্য?), হাটহাজারীর পুরনো রাজপাট, কোটের পাড়ের সামরিক ও প্রতিরক্ষামূলক গুরুত্বের মতো চমৎকার ও অভিনব সব বিষয় চৌধুরীর গ্রন্থ থেকে আমরা অবগত হই। সম্রাট– সম্রাজ্ঞী, ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেলের ইতিহাস নয় তিনি পাঠককে নিয়ে যান নিজের শেকড়ের কাছে। এ যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য – স্বাদেশিকতা, দেশপ্রেম– আঞ্চলিক ইতিহাসের মাধ্যমে আমরা এসব বৈশিষ্ট্যে উজ্জীবিত হই। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগের সংবাদও জানিয়ে দেন। চট্টগ্রামের নৌ–বাণিজ্য, জনবিন্যাস, নৃতত্ব ও ভূ–প্রকৃতির আলোচনায় চৌধুরীর জ্ঞানের বিশালতা প্রকাশিত।
চট্টগ্রাম নিয়ে দেশী–বিদেশী পন্ডিত, সরকারি কর্মকর্তা, পরিব্রাজক ও মিশনারিদের লেখা বইপত্র সংখ্যায় বিপুল। চট্টগ্রাম জিলা গেজেটিয়ার প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে। L.S.S.O’ Malley সম্পাদনায়। যদিও ফ্রান্সিক বুকাননের সম্পাদনায় রংপুর ও দিনাজপুর জিলা গেজেটিয়ার এর একশো বছর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে W.W. Hunter এর Statistical Accounts of the districts of ctg. তে প্রায় ১২টি জিলার নানা তথ্য–বিবরণ রয়েছে।
চট্টগ্রামের হামিদুল্লাহ খানের ‘তারিখ–ই–হামিদি’ – এই বছরেই প্রকাশিত হয়। স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে – আঞ্চলিক ইতিহাস প্রণয়নের একটা প্রবহমান ঐতিহ্য আছে আমাদের – বলা যায়, আবদুল হক চৌধুরী সে ধারায় নিজেকে যুক্ত করেছেন সানন্দে, স্বতঃস্ফুর্তভাবে। চট্টগ্রামের ও তাঁর পরিপার্শ্বের স্বরূপ সন্ধানের এমন নির্লোভ আত্মনিবেদন সত্যিই বিরল।
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (১৮৫৩–১৯৩১) প্রচুর শ্রম ও নিষ্ঠায় প্রাচীন পুথি পুস্তক সংগ্রহ করেন এশিয়াটিক সোসাইটির জন্য ভারত সরকারের অর্থ সাহায্যে। নগেন্দ্রনাথ বসু তাঁর সংগ্রহ বিক্রি করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। দীনেশচন্দ্র সেন প্রাচীন লোক সাহিত্য, পুথি ইত্যাদি সংগ্রহ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর ভারতীয় ভাষা বিভাগকে সমৃদ্ধ করেন। এই ঐতিহাসিক অবদানের স্বীকৃতি মেলে তাঁর ডি.লিট ডিগ্রি অর্জনে।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস – আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সংগ্রহ – সাধনার পেছনে আছে বাংলা সাহিত্যের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম অনুরাগ ও শ্রদ্ধাবোধ। তারই অনুসন্ধানে বাংলা পুথি সাহিত্যের বিপুল, অতুলনীয় ও বিচিত্র রত্নভান্ডার আমাদের হাতে এসেছে। আবদুল হক চৌধুরী সাহিত্যবিশারদের অনুরাগী শিষ্য। নিজের বই প্রকাশের জন্য নিজের দুর্লভ সংগ্রহ তিনি বিক্রি করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।
মৃত্যুর আগে অনেক জ্ঞান তাপস শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির মতো এই দুইজনকে আমরা যথার্থ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ব্যর্থ হয়েছি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মধ্যযুগে অজ্ঞাত, লুপ্ত প্রায় কবিদের সন্ধান দিয়ে সাহিত্যবিশারদ ও চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সন্ধানদাতা বা আবিষ্কারকদের মধ্যে বিশিষ্ট হয়ে উঠেছেন। আজগর আলী পন্ডিতের দুষ্প্রাপ্য পুথি ‘চিন লেস্পতি’র আলোচনায় চৌধুরীর অবদান সকলের আগে। অতি সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত ‘সত্যবার্তায়’ ‘চিন লেস্পতি’ শিরোনামে ডাক্তার ওমরের একটি প্রবন্ধ আমি দেখেছি। দুরূহ, দুর্বোধ্য ও দুর্লভ সব তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ ও সমন্বয় করে চৌধুরী নিজে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তি ও ঔচিত্যেবোধের কাছে নিজেকে সমর্পন করেছেন। এই নিরাসক্তি তাঁর ন্যায়নিষ্ঠ প্রত্যয়ের প্রমাণ। জ্ঞানানুশীলনকারী একজন মানুষ নিজের কৃতিকে সর্বশেষ প্রাপ্তি বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংগত নয়। চৌধুরীর বিনয় অবনত মানসলোকে এ বিশ্বাস দৃঢ়মূল।
আবদুল হক চৌধুরীর ইতিহাসচর্চায়, সমাজ–সংস্কৃতি বিষয়ের বিশ্লেষণে, আরাকান বা সিলেটের ইতিহাস প্রসঙ্গে তিনি প্রাথমিক উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ভ্রমণ করেছেন ক্লান্তিহীন। স্থানীয় লোকজনের সাহায্য নিয়েছেন। কঠোর পরিশ্রমে পাঠ করেছেন প্রত্নলিপির পান্ডুলিপির বিষয়বস্তু, সন–তারিখ।
জ্ঞানের জগতে সুখ্যাত পন্ডিত বা প্রবীণ ও নবীন গবেষকের দ্বি–মতের অবকাশ থাকে। চৌধুরীর ক্ষেত্রেও তা হয়েছে। ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ড. আবদুল করিম, ড. আহমদ শরীফ প্রমুখের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশে চৌধুরী সংযত ও বিনয়ী। তাই, সাংবাদিক–সম্পাদক আবদুর রশিদ সিদ্দিকীর সঙ্গে মত পার্থক্যে চৌধুরীর ক্ষোভ ও বিরূপতা বিস্ময়কর মনে হয়।
বাংলা ভাষায় অভিধান রচনার একটা পুরনো ধারা আছে। চারতাভিধান রচনা এর একটা শাখা। ‘সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান’ বা ইবহমধষ Bengal Celebrities ইত্যাদিতে আমাদের প্রাসঙ্গিক পরিচিতি ন্যূনতম, প্রায় অনুপস্থিত বলা যায়। আবদুল হক চৌধুরী ইতিহাসের এই শুন্যতাকে পূরণ করতে চেয়েছেন। ‘চট্টগ্রামের চরিতাভিধান’ সংকলন করে। বংশানুক্রম বা কালানুক্রম রক্ষায় কিছু ত্রুটি দুঃখজনক। আশা করব, পরের সংস্করন সংশোধিত ও পরিমার্জিত রূপে প্রকাশিত হবে। প্রসঙ্গত ক্ষুদ্রতর এলাকার ইতিহাস ও চরিতাভিধান রচনার একটা সাধারণ প্রবণতা এখন দৃশ্যমান – উখিয়া বা মীরসরাই এর ইতিহাস, কক্সবাজার চরিত কোষ এর সাম্প্রতিক প্রমাণ।
আবদুল হক চৌধুরীর অনুরাগী জনৈক গবেষক চৌধুরীর রচনাবলির মুদ্রিত পৃষ্ঠাসংখ্যা প্রায় ৩ হাজার বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর লিখিত গ্রন্থের সংখ্যার চাইতেও তা বিষয় বৈচিত্রে আকর্ষনীয়। ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব, সৃজনশীল সাহিত্যকর্ম বা লোক সংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণার রীতিসিদ্ধ সূত্র বা পদ্ধতি আছে। চৌধুরী তাঁর লেখালেখিতে ধ্রুপদী কোন পদ্ধতি ব্যবহার না করেও তাঁর লক্ষে পৌঁছুতে পেরেছেন। মাঠ পর্যায়ে গবেষণা বা বর্ণতাত্মক পদ্ধতিও এখন গবেষনা কাজের একটি স্বীকৃত ধারা। চৌধুরী এমন ধারাই অনুসরণ করেছেন। তাঁর কাজকর্মে কোনো বিমূর্ত চিন্তা, রূপকল্প বা কঠোর নিয়ম পদ্ধতির প্রয়োজন হয়নি। সত্য নিষ্ঠা ও ঔচিত্য বোধের নিরিখে তিনি তথ্য – উপাত্ত যাচাই করেছেন। সহজ সাবলীল ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন। দ্বৈতীয়িক উপাদান ব্যবহার করেছেন সামান্যই। তাই সহজ কথা তিনি সহজ করেই বলতে পেরেছেন।
আবদুল হক চৌধুরী আনুষ্ঠানিক শিক্ষায়, কোন একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করতে পারেননি। পিতার মৃত্যুর পর দেওয়ানি মামলা, সম্পত্তি রক্ষা নানা ব্যস্ততায় তিনি ব্যস্ত থেকেছেন। আত্মীয় স্বজনের এমন অবাঞ্চিত অশালীন ব্যবহার বাংলাদেশের অনেক পরিবারের শান্তি ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় চৌধুরী দীর্ঘদিন নিবেদিত চিত্ত থাকেন নি। আমাদের সৌভাগ্যবশত সাইকেল পার্টসের দোকান বা তৈজষ পত্রের ব্যবসায়ে তিনি সফল হননি। জ্ঞানচর্চা ও নবতর জ্ঞান সৃজনে নিবেদিত চিত্ত হয়ে তিনি আমাদের শ্রদ্ধার আসনে আসীন হয়েছেন। চৌধুরী শুধু দীর্ঘদেহী ছিলেন না, দীর্ঘজীবীও ছিলেন। দীর্ঘ জীবনে নিভৃতচারী এই মানুষটি শুদ্ধ জ্ঞানচর্চায় অতিবাহিত করেছেন। তত্ত্ববিদ, উপাধ্যায়, বিদ্যানিধি কোনের উপাধি তাঁকে প্রলুব্ধ করেনি। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সোপান তৈরির সুযোগও ছিলনা তাঁর। ফলে আমরা পেলাম এক জ্ঞানসাধক কর্মযোগী আবদুল হক চৌধুরী। উপ–মহাদেশের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আবদুল করিমের হাতে তাই সঙ্গত কারণেই রচিত হল ‘আবদুল হক চৌধুরী ও তাঁর গবেষণা’ গ্রন্থ উভয়ের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
লেখক : সাবেক রোকেয়া চেয়ার, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।