মুসলমানদের হাত থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশের শাসন ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ায় মুসলমানরা অভিমান বশত ইংরেজি শিক্ষা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো। স্যার সৈয়দ আহমদের প্রাণপণ চেষ্টা সত্ত্বেও আলেম ওলামাদের বিরোধিতার কারণে তা হালে পানি পায়নি। মওলানা কেরামত আলী জৌনপুরী ভারতবর্ষকে ‘দারুল ইসলাম’ ঘোষণা করলেও হাজি শরীয়তুল্লাহ সহ অন্যান্য আলেমরা ‘দারুল হরব’ আখ্যা দেয়ায় সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ দেখা যায়নি।
তবুও দু’জন মওলানাই চট্টগ্রামে প্রথম দু’টি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছিলেন, এটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। সীতাকুণ্ডে একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন মওলানা ওবায়দুল হক এবং পটিয়ায় রাহাত আলী আবদুস সোবহান হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মওলানা আবদুস সোবহান।
মওলানা ওবায়দুল হক এবং মওলানা আবদুস সোবহানের ধারায় আমরা পরবর্তীকালে আরেকজন আলেমকে পাই, যিনি নাজিরহাটে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন। তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মহান শিক্ষাব্রতী মওলানা আফজল আহমদ চৌধুরী। তিনি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে নাজিরহাটে প্রতিষ্ঠা করেন জামিয়া মিল্লিয়া আহমদীয়া কামিল মাদ্রাসা, ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে নাজিরহাট কলেজ এবং ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে নাজিরহাট কলেজিয়েট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
মওলানা আফজল আহমদ চৌধুরীর কৃতিত্ব অনেক বেশি। তিনি তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্থাপয়িতা। তিনি উত্তর চট্টগ্রামের ব্যবসা কেন্দ্র নাজিরহাটকে শিক্ষা কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছিলেন। মওলানা ওবায়দুল হককে লালমিয়া সাবরেজিস্ট্রার (খান বাহাদুর ফজলুল কাদের) সীতাকুণ্ড হাইস্কুল প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু তেমন কোন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা নাজিরহাটে কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় মওলানার সহায় ছিলেন না।
মওলানা আফজল ছিলেন মূলত শিক্ষাবিদ। তিনি ছিলেন ফটিকছড়ি করোনেশন হাইস্কুলের আরবি’র শিক্ষক–হেড মওলানা। তবে অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি শিক্ষকতার কাজ নেননি। তাঁর অর্থের কোন অভাব ছিলো না। তাঁর পিতা চুন্নু মিয়া চৌধুরী ছিলেন জমিদার। মওলানা আফজল শিক্ষা বিস্তারের মানসে শিক্ষকতার ব্রত গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো আলোকিত মানুষ ও শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলা। শিক্ষায় অনগ্রসর, পিছিয়ে পড়া মুসলমান সমাজকে শিক্ষার আলো জ্বেলে এগিয়ে দেয়া।
ফরহাদাবাদের জমিদার চুন্নু মিয়া চৌধুরীর ঔরসে আহমদের নেছা চৌধুরীর গর্ভে ১৯০৮ সালে মওলানা আফজল আহমদ চৌধুরীর জন্ম। তাঁরা ছয় ভাই ও পাঁচ বোন ছিলেন।
স্থানীয় কাটিরহাট এম.ই স্কুলে আফজল আহমদ চৌধুরীর শিক্ষা জীবনের সূচনা হয়। কিন্তু পিতা তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য ছেলেকে স্কুল হতে নিয়ে আসেন এবং স্থানীয় এক সুযোগ্য আলেমের নিকট ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য সমর্পণ করেন। আলেমের নিকট সমর্পণ করার সময় পিতার অনুরোধ ছিল, এক বছরের মধ্যেই যেন তাঁর ছেলে পবিত্র কোরআন শরীফ ও অন্যান্য কিতাব আয়ত্ত করতে পারে। পিতার ঐকান্তিক আগ্রহ, অনুপ্রেরণা এবং সযত্ন পরিচর্যায় নির্ধারিত সময়ে আফজল আহমদ চৌধুরী পবিত্র কোরান শিক্ষাসহ বেশ কয়েকটি উর্দু কিতাব পাঠ সমাপ্ত করে স্থানীয় ফরহাদাবাদ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। পরে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষা পাস করার পর তাঁর ইচ্ছা ছিলো আরবি শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি “ফখরুল মোহাদ্দেসিন” উপাধিটা নেবেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য সে ইচ্ছা অপূর্ণ রেখে কলকাতা ত্যাগ করে চট্টগ্রামে গ্রামের বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হন তিনি। তারপরই শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। কর্মক্ষেত্র ফটিকছড়ি করোনেশন হাইস্কুল।
তিনি করোনেশন হাইস্কুলের আবাসিক শিক্ষক ছিলেন। স্কুলে থাকার অর্থ শিক্ষার পরিমণ্ডলের মধ্যে বসবাস করা। শিক্ষার পরিবেশে শ্বাস–প্রশ্বাস গ্রহণ করে বেঁচে থাকা এঁই হয়তো তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো। আর ছাত্রদেরকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ এবং সার্বক্ষণিক তদারকির মধ্যে রেখে তাদের লেখাপড়ার উন্নতি বিধান করতে চেয়েছিলেন তিনি। গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের পড়ার খরচও বহন করতেন তিনি। মেধাবী ছাত্রের পড়ার খরচ বহন করেই শেষ নয়, আত্মীয়–স্বজনের প্রবল আপত্তি উপেক্ষা করে গরীব পরিবারের ছেলের সাথে নিজের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে অপূর্ব অনুকরণীয় দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছিলেন মওলানা সাহেব।
একদিন তিনি মনে মনে স্থির করলেন যে নাজিরহাটে একটি আলীয়া মাদ্রাসা স্থাপন করবেন। একই সাথে পরিকল্পনার একটি রূপরেখাও প্রণয়ন করেন তিনি। এর নাম হবে “নাজিরহাট জামেয়া মিল্লিয়া মাদ্রাসা” এবং সাধারণ শিক্ষা বিস্তারকল্পে একটি এম.ই. স্কুল স্থাপন করা হবে এবং পরবর্তীকালে তাকে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে উন্নত করা হবে। এর বর্তমান সাক্ষ্য বহন করছে, নাজিরহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় এবং এরই সমপ্রসারিত ফসল আজকের “নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ” বর্তমানে নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রায় সহস্রাধিক ছাত্র–ছাত্রী উপযুক্ত শিক্ষক মণ্ডলী দ্বারা অধ্যয়ন করছে ।
কলকাতায় অধ্যয়নকালীন তাঁর মানসজগতে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়। কলকাতা কিছুদিন আগেও ছিলো ব্রিটিশ–ভারতের রাজধানী, ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরিত হলেও কলকাতার জৌলুস তখনো এতটুকু ম্লান হয়নি। কলকাতা বঙ্গীয়–রাজনীতির পাঠস্থান, বাংলার সাংস্কৃতিক রাজধানী। মওলানা তাঁর শৈশব, কৈশোরে মুসলমানদের তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় দেখেছেন। যখন তিনি কলকাতায় অধ্যয়ন করছেন, তখন মুসলমানদের নিদ্রা ভঙ্গ হয়েছে, তারা জেগে উঠতে শুরু করেছে।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে বাঙালি নেতা শের–ই–বাংলা এ কে ফজলুল হক মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমি ‘পাকিস্তান’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উত্থাপন করার পর ইসলামী জাতীয়তাবাদী চেতনায় জেগে ওঠে মুসলমান সমাজ। পাকিস্তান আন্দোলনের জোয়ারে ভেসে যায় বাঙলার মুসলিম সম্প্রদায়। মওলানা আফজলও তাতে গা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন।
কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র থাকাকালে সময়ে তিনি বহু বিশিষ্ট আলেম ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতার সাহচর্য লাভ করেন। একবার তিনি কলকাতাস্থ চট্টগ্রাম মুসলিম ছাত্র সমিতির “সাধারণ সম্পাদক” ও “আসামবঙ্গ আরবী ছাত্র সম্মেলনের” যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন । উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ ২২ বছরে কোন আরবি পড়ুয়া ছাত্র এ সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করেননি।
১৯৪৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর কায়েদে আজমের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মাওলানা সাহেব স্কুলে ফিরে আসেন এবং স্কুল মিলনায়তনে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির মধ্যস্থলে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। এ কাজে তিনি ফটিকছড়ি স্কুলের কৃতী ছাত্র হাইদচকিয়ার নুরুল ইসলাম (পরবর্তীকালে তাঁর জামাতা), হাজীরখিলের বজল আহমদ এবং আমাকে বেছে নেন। তিনি আমাকে দিয়ে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিকট চিঠি পাঠাতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৯৪৮ সালে ডিসেম্বর মাসে নাজিরহাট আহমাদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক সমাবেশের আয়োজন করেন। সেখানে সভাপতিত্ব করেন ফটিকছড়ির তৎকালীন মুন্সেফ এ, এফ এম ফয়জুল ইসলাম। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে নাজিরহাটে একটি কলেজ স্থাপনের সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু জায়গার অভাবে হালদা নদীর পশ্চিম পাশে টিনের ছাউনি ও পাকা ফ্লোর করে ই–সাইজের একটি গৃহ নির্মাণ করে সেখানে কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন হীরেন লাল সেনগুপ্ত। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উপ–অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর নিয়ে নাজিরহাট কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
নাজিরহাটে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। কলেজ প্রতিষ্ঠায় আর্থিকভাবে যারা সাহায্য করেছেন তাঁদের মধ্যে নানুপুরের মীর্জা আবু আহমদ, শাহ নগরের জনাব আদালত খান, দাঁতমারা গ্রামের জনাব বদরুজ্জামান চৌধুরী প্রকাশ বদন সিকদার, রোসাংগিরির সেন পরিবার, নারায়ণহাটের পশ্চিম দিকে চাঁদপুর গ্রামের বদরুজ্জামান সওদাগর, চান্দগাঁও এলাকার সোলেমান চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া ফটিকছড়ি থেকে যত মালামাল আসা যাওয়া করত, সেগুলির প্রত্যেকটি জিনিসের ওপর থেকে কলেজের জন্য চাঁদা নেওয়া হতো। এছাড়া নাজিরহাট কলেজের জন্য মাইজভান্ডার মেলা ও মন্দাকিনী মেলা থেকে কলেজের জন্য চাঁদা তোলা হতো। ১৯৫৬ সালে কলেজকে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। (এ দেশে যাঁরা স্মরণ ও বরণযোগ্য : এ কে এমদাদুল ইসলাম, পৃষ্ঠা. ১৭৩–১৭৪)
মওলানা আফজল আহমদ চৌধুরী ফটিকছড়ি থানার শাহনগর গ্রামের প্রাক্তন বিভাগীয় স্কুল পরিদর্শক (হুগলী, পটুয়াখালী, কলকাতা) মরহুম মোখলেছুর রহমান মিয়ার কন্যা রোকেয়া বেগম চৌধুরীর পাণি গ্রহণ করেন। তাঁর এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের পিতা ছিলেন তিনি। পুত্র জয়নাল আবেদীন চৌধুরী প্রকাশ সাহেব মিয়া ছিলেন ব্যাংকার। তিনি পূবালী ব্যাংক থেকে প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। জয়নাল আবেদীন চৌধুরী হযরত আমানত শাহ’র পরিবার থেকে বিয়ে করেন। তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যার স্বামী ছিলেন, ফটিকছড়ির সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ার। তাঁর নাতনি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বর্তমানে ফটিকছড়ির এমপি। মওলানা আফজলের দু’কন্যার প্রথমজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ফটিকছড়ি স্কুলের কৃতী ছাত্র হাইদচকিয়া নুরুল ইসলামের সাথে। দ্বিতীয় কন্যার বিয়ে হয়েছে রাউজানের লেলাংগারা গ্রামের শিক্ষক মফিজুর রহমানের সাথে। তিনি ছিলেন বিএবিএড। তিনি কলেজিয়েট স্কুল ও মুসলিম হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সবশেষে রাঙামাটি সরকারী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
তাঁর চারজন নাতি জীবনে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁরা হচ্ছেন– ড. প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর সেলিম (জাতিসংঘের পরিবেশ এবং নগর পরিকল্পনা পরামর্শক), জামাল নাসের চৌধুরী (প্রাক্তন ডিজিএম–বিসিক), ডা. নিজাম মোর্শেদ চৌধুরী (চেয়ারম্যান, ডক্টর্স হসপিটাল) ও প্রকৌশলী ইকবাল মোর্শেদ চৌধুরী (যুক্তরাজ্যে কর্মরত)।
শিক্ষার প্রেমে মজেছিলেন মওলানা আফজল আহমদ চৌধুরী। শিক্ষার সাথে এমন এক অচ্ছেদ্য বন্ধনে তিনি বাঁধা পড়েছিলেন যে, জীবনে আর কিছু করেননি, অন্য কিছু করার কথা তাঁর ভাবনায়ও আসেনি। এমনই শিক্ষাপ্রেমি, শিক্ষা–অন্ত–প্রাণ ছিলেন। শিক্ষকতা আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে গড়তেই প্রায় শতবর্ষীয় জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছিলেন। প্রথম জীবনে ছিলেন শিক্ষার্থী, তারপর শিক্ষক এবং অবশেষে শিক্ষা সংগঠক, শিক্ষা ছাড়া তাঁর আর কোন জীবন ছিলো না।
শিক্ষার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সরকার একুশে পদক প্রদান করে থাকে। শিক্ষার জন্য মওলানা আফজল আহমদ চৌধুরীর যে বিপুল অবদান, তাতে তিনি সহজেই একুশে পদক পেতে পারেন। আগামী বছরের একুশে পদক প্রাপকের নাম নির্বাচনের সময় মওলানা আফজল আহমদ চৌধুরীর নামটা বিবেচনা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
লেখক : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতি সংগঠক।