আফগানিস্তানে তালেবানের দাপট বাড়ছে। সমপ্রতি কয়েক সপ্তাহে জঙ্গিদের একের পর এক হামলায় কয়েক ডজন জেলা দখল হয়েছে। সরকারি বাহিনীর সদস্যরা আটক হয়েছে। আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছে। সামরিক সরঞ্জামও চলে গেছে জঙ্গিদের হাতে। এবার গুরুত্বপূর্ণ নগরীগুলোতেও ঢুকে পড়তে শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। খবর বিডিনিউজের।
গত রোববার আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের দুটি প্রদেশের রাজধানীতে ঢুকেছে তালেবান। কুন্দুজ সিটির প্রবেশপথ দখলে নিয়েছে তারা। এরপর ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকাগুলোতে। অন্যদিকে, কুন্দুজের পশ্চিমে ফারিয়াব প্রদেশের রাজধানী মায়মানায়ও ঢুকেছে তালেবান বাহিনী। যোদ্ধাদেরকে দেখা গেছে নগরীর প্রবেশপথে। পরে তারা নগরীর ভেতরে ঢোকে। সেখানে তালেবান বাহিনীর সঙ্গে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই চলেছে রোববার রাতে। এর আগের কয়েক দিনে রাজধানীর আশেপাশের জেলাগুলো দফায় দফায় দখল করে নিয়েছিল তালেবান।
আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথ খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি এবং আফগানিস্তান থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই দেশটিতে তালেবান হামলা-সহিংসতা বেড়েছে।
গত মাসে তালেবান যোদ্ধারা উত্তরাঞ্চলের অন্তত ৩০টি জেলার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় তারা শত শত আফগান সেনাকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে এবং ধরে নিয়ে যায়। তারা সেনাবাহিনীর বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামও দখল করেছে।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, তালেবান বাহিনী রোববার কুন্দুজ প্রদেশের রাজধানী কুন্দুজ সিটির প্রবেশ পথের দখল নিয়ে পাশের নগরীতে জোরালো আক্রমণ শুরু করেছে। এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে তালেবান বাহিনী সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কুন্দুজের দখল নিয়েছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী এবং স্পেশাল অপারেশন্স ফোর্সের সহায়তায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তাদের সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য করে। এভাবে তালেবানের একের পর এক অঞ্চল দখলে নেওয়া আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্য ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দেশটিতে এখন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন মিলিয়ে যে ক’জন সেনা রয়েছে তাদের বেশিরভাগই রাজধানী কাবুলে এবং বাগরাম বিমানঘাঁটিতে অবস্থান করছে। তারা এখন মূলত নিজ নিজ দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে। আর এ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে আবার থাবা বসাচ্ছে তালেবান। গত কয়েক সপ্তাহে আফগান বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর আকাশ সহায়তা অনেক কমে গেছে।











