এই শারজাহতেই আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই শারজাহতেই আফগানদের হারিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। কদিন আগে এশিয়া কাপে আফগানদের হারানোর পর এবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে টাইগাররা হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ দিল রশিদ–নবীদের।
আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও জয়ের নায়ক নুরুল হাসান সোহান। এই উইকেট রক্ষক–ব্যাটার আরো একবার নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করলেন। আগের ম্যাচে যখন দল বিপদে তখন দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন সোহান। গতকালও একইভাবে দারুণ ব্যাটিংয়ে জেতালেন দলকে। সেই সাথে সিরিজও নিজেদের করে নিল। সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলি বলেছিলেন, এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল তারা। গতকাল আরো একবার আফগানদের হারানো এবং সিরিজ জিতে নেওয়ার মধ্য দিয়ে অধিনায়কের কথার সত্যতা প্রমাণ করল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টি–টোয়েন্টিতে সব সময় কঠিন প্রতিপক্ষ আফগানদের বিপক্ষে এখন হোয়াইটওয়াশের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান শুরুটা ভালোই করেছিল। দুই ওপেনার শফিকুল্লাহ এবং ইব্রাহিম জাদরান মিলে ৫৫ রান তুলে নেন। ২৩ রান করা শফিকুল্লাহকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। দ্বিতীয় উইকেটে ইব্রাহিম জাদরান এবং গুরবাজ মিলে দলের রানকে ৭১ পর্যন্ত নিয়ে যান। নাসুম এসে ভাঙেন এ জুটি। তার শিকার ৩৮ রান করা ইব্রাহিম জাদরান। পরের ওভারে ওয়াফিউল্লাহকে ফেরান রিশাদ তার দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে। তবে লড়াই করছিলেন গুরবাজ। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি শরীফুল। ২২ বলে ৩০ রানে থামে গুরবাজের ইনিংস। তবে শেষ দিকে আজমত উল্লাহ এবং মোহাম্মদ নবী মিলে দলকে টানার চেষ্টা করেন। এ দুজনের চেষ্টায় ১৪৭ রানে থামে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ এবং রিশাদ হোসেন। ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যর্থ বাংলাদেশের দুই ওপেনার। আগের ম্যাচে ১০৯ রানের জুটি গড়া ইমন এবং তানজিদ এ ম্যাচে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ৩ রানে গিয়ে। সাইফ এবং জাকের আলি মিলে প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও পারেননি। ২৪ রানের মাথায় ফিরেন সাঈফ। এরপর জাকের এবং শামীম মিলে টানেন দলকে। ৫৬ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২৫ বলে ৩২ রান করা টাইগার অধিনায়ককে ফেরান রশিদ খান। ২২ রান পর ফিরেন শামীম। ২২ বলে ৩৩ রান করেন শামীম। এরপর হাল ধরেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে দ্রুত নাসুম, সাইফুদ্দিন এবং রিশাদ ফিরলে ম্যাচের লাগাম আবার চলে যায় আফগানদের দিকে। তবে সোহান ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তাকে সঙ্গ দেন শরীফুল। শেষ পর্যন্ত ৫ বল এবং ২ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেন সোহান এবং শরীফুল। সেই সাথে জিতে নেন সিরিজও। ২১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহান। আর শরীফুলের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১১ রান।