আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ১–১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় জাবের সার্জার গোলে পিছিয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। তবে দলকে সমতায় ফেরান তরুণ তারকা শেখ মোরসালিন। ফলে দুই ম্যাচের দুটিতেই ড্র করল বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমার্ধে মাঠের খেলার পাশাপাশি উত্তাপ ছড়িয়েছে ডাগআউটেও। লাল কার্ড দেখেছেন বাংলাদেশের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন এবং আফগানিস্তানের কোচ আবদুল্লাহ আলমুতাইরি। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে আফগানিস্তান। ধীরে ধীরে ম্যাচের সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্ষণ সামলে আক্রমণে উঠতে থাকে বাংলাদেশও। ম্যাচের ৪০ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিল বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে রাকিবের জোড়ালো শট ফিরিয়ে দেন আফগান গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় দুই দল। ৫২ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন জাবের সার্জা। ওমিদ পোপালজায়ের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড থেকে দলকে এগিয়ে দেন সার্জা। তার হেড ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক জিকো। তবে তার হাতে লেগে বল জালে জড়ায়। ৬২ মিনিটে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠের কাছাকাছি থেকে বিশ্বনাথ ঘোষকে বল দেন রাকিব। ডি বক্সের ডান প্রান্ত থেকে মোরসালিনকে ক্রস দেন তিনি। আলতো টোকায় গোল করতে ভুল করেননি মোরসালিন। ৬৮ মিনিটে রাকিবের ক্রসে বল পেয়েছিলেন জামাল। কিন্তু তার হেড ফিরিয়ে দেন আফগান ডিফেন্ডার। ফিরতি বলে জামালের শট সেই ডিফেন্ডারের হাতে লাগলেও খেয়াল করেননি রেফারি। বাংলাদেশের পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন তিনি। ৭৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিবের কাটব্যাকে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেননি মোরসালিন। ৮৪ মিনিটে রাকিবের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে বিশ্বনাথ ঘোষ হেড করলেও আফগান ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। শেষ দিকে আফগানিস্তানকে চেপে ধরলেও জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এই নিয়ে ৯ ম্যাচে মুখোমুখি হলো দুই দল। বাংলাদেশের জয় একটিতে। আফগানিস্তান জিতেছে ২টি ম্যাচে। বাকি ছয় ম্যাচ হয়েছে ড্র।