টসে জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তানকে শুরুতেই ধাক্কা দেন মোস্তাফিজ। ৭ রান করা রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান তামিমের ক্যাচ বানিয়ে। রহমানুল্লাহর আকাশে তুলে দেওয়া বলটি তামিম ধরে নেন দারুন দক্ষতায়।
দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহ এবং ইব্রাহিম জাদরান মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। এজুটি ভাঙ্গেন শরীফুল। স্লিপে ইব্রাহিম জাদরানের দারুণ এক ক্যাচ নেন ইয়াসির আলি রাব্বি। ২৩ বলে ১৯ রান করে ফিরেন এই আফগান ওপেনার।
রহমত শাহ এবং হাশমত উল্লার জুটিটা ২৪ রানের। রহমত শাহকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন তাসকিন। ৬৯ বলে ৩৪ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর চেষ্টা করেন হাশমত উল্লাহ শহিদী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান মিলে এগিয়ে যাওর্য়া কিন্তু তাদের জুটিটা বড় হতে দেননি মাহমুদউল্লাহ।
ষষ্ট ওভারে ইব্রাহিমের ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া মাহমুদউল্লাহ ফেরান হাশমত উল্লাহ শহিদীকে। ৪৩ বলে ২৮ রান করেন হাশমত উল্লাহ। এরপর শুরু নজিবুল্লাহ জাদরানের লড়াই। মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে ৬৩ রানের দারুন এক জুটি গড়েন নাজিবুল্লাহ।
তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে নবী ফিরেন ২৪ বলে ২০ রান করে। গুলবাদিন নাইবও ১৭ রানের বেশি সঙ্গ দিতে পারেননি নজিবুল্লাহকে। বলতে গেলে এরপর একাই লড়াই করে গেছেন নাজিবুল্লাহ। একপ্রান্ত আগলে রাখেন নাজিবুল্লাহ। অপর প্রান্তে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে একের পর এক সাজঘরে ফিলছিলেন আফগান ব্যাটাররা। দলকে ২১৪ রানে পৌছে দিয়ে নবম ব্যাটার হিসেবে ফিরেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
তার আগে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে নিয়েছেন এই ব্যাটার। ৮৪ বলে ৪টি চার এবং ২টি ছক্কার সাহায্যে৬৭ রান করে ফিরেন নাজিবুল্লাহ। আর এর পরপরই ৫ বল বাকি থাকতে ২১৫ রানে অল আউট হয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে ৩৫ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ।
২টি করে উইকেট গেছে তাসকিন, সাকিব এবং শরীফুলের পকেটে।