তামিমের পিঠের ইনজুরি নিয়ে কম আলোচনা হচ্ছেনা। সে ইনজুরির চিকিৎসা করাতে তামিম এখন লন্ডনে। আর সেখানে লন্ডনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তামিম ইকবালের পিঠের নিচের দিকের দুটি অংশে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতরাতে আবার সে হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল তামিমের। ইনজেকশনের প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য আবার তাকে হাসপাতালে যেতে হবে। তার শরীর যেভাবে সাড়া দেবে, সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা জানাবেন চিকিৎসক। লন্ডনে গত মঙ্গলবার তামিমের এমআরআই করানোর পর বৃহস্পতিবার ইনজেকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে তামিমের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দুই ডিস্ক ঘিরে তিন থেকে চারটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। ইনজেকশনগুলো দেওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচারের টেবিলে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এই ইনজেকশন সাধারণত স্নায়ুকে নিস্তেজ করে রাখে একটি নির্দিষ্ট সময়। তবে সেই সময়টা কতদিন, সেটির নিশ্চয়তা দিতে পারেন না চিকিৎসকরাও। কারও ক্ষেত্রে ইনজেকশনের কার্যকারিতা ২–৩ মাস থেকে শুরু করে ৪–৫ মাস পর্যন্ত থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার এক মাসের মধ্যেও ব্যথা ফিরে আসে। আগের দফায় এই ইনজেকশন নিয়ে তামিম তিন মাসের মতো সময় মোটামুটি নির্বিঘ্নে খেলতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশের সামনে বড় দুই অভিযানের প্রথমটি এশিয়া কাপ । আর এই টুর্নামেন্ট শুরু হতে সময় আছে আর এক মাস। বিশ্বকাপ শুরু হতে সময় আছে দুই মাসের একটু বেশি। ইনজেকশন ঠিকঠাক কাজ করতে শুরু করলে ৭ থেকে ১০ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে তামিমকে। এরপর আস্তে আস্তে তিনি ফিটনেস ট্রেনিংসহ অনুশীলন শুরু করতে পারবেন।এখন ইনজেকশন ঠিকঠাক কাজ করলেও তার আসল চ্যালেঞ্জ হবে অনুশীলন শুরুর পরই। তখন যদি আবার ব্যথা ফিরে আসে, আরেক ধাপে ইনজেকশন নেওয়ার সুযোগ থাকবে। তাতেও কাজ না হলে শেষ উপায় অস্ত্রোপচার।