ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে যে কয়টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তম্মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে ‘সুড়ঙ্গ’। সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় হাজির হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। আর প্রথম ছবিতেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে তার অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। দর্শক চাহিদায় মাল্টিপ্লেক্সে শো সংখ্যা বাড়লেও সিনেমাটি সপরিবারে দেখতে গিয়ে অনেকেই বিব্রত হয়েছেন। অনেকেই হল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছেন, আগে জানলে সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আসতেন না।
কেউ কেউ বলেছেন, গল্পের প্রয়োজন ছিল না এসব ‘আপত্তিকর দৃশ্যের। খবর বাংলানিউজের।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী এসব অ্যাডাল্ট সিন যায় না বলেও জানান কেউ কেউ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন সেন্সরবোর্ড থেকে এসব দৃশ্য কেন ছেঁটে দেওয়া হয়নি? দর্শকদের এমন সব অভিযোগ ও বক্তব্যের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন ছবিটির পরিচালক রায়হান রাফী। তার দাবি, ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় কোনো আপত্তিকর দৃশ্যই নেই। তাইতো সেন্সরবোর্ড থেকে এসব দৃশ্যসহই ছাড়পত্র পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় আমার সিনেমায় অ্যাডাল্ট কোনো দৃশ্য নাই। একটি সিনেমা নির্মাণের সময়ে অনেক কিছু ভাবতে হয়। প্রেম বিষয়টি একেকজনের কাছে একেকরকম। একেকজন দর্শকের পয়েন্ট অব ভিউ ভিন্ন। আমি তাদের ভাবনাকে শ্রদ্ধা করি। অর্থাৎ সিনেমাকে বাস্তবতার ছোঁয়া দিতে কিছু দৃশ্য যোগ করতে হয়েছে–এমনটাই জানালেন রাফী।
পরিচালক বললেন, আমরা যে সিনেমার সেন্সর পেয়েছি, সেটা বাংলাদেশের নিয়ম অনুসরণ করে নির্মাণ করেই পেয়েছি। এটাতে সরাসরি এমন কোনো দৃশ্য রাখিনি। গল্পের প্রয়োজনে যতটুকু রাখা দরকার ততটুকুই রেখেছি। গোটা বিশ্বে বাস্তবধর্মী সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। আমরাও তেমন সিনেমাই নির্মাণ করেছি। বাস্তবতার বাইরে গিয়ে তো সিনেমা বানাতে পারব না! প্রসঙ্গত, ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় আফরান নিশোর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তমা মির্জা। চরকি ও আলফা আইয়ের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন রায়হান রাফী। যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন নাজিম উদ্ দৌলা ও রায়হান রাফী।












