আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খরচ সরকারের, বিল না নেওয়ার আহ্বান

| রবিবার , ১৮ আগস্ট, ২০২৪ at ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আহত ছাত্র ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহনের দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। এজন্য সরকারিবেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীনদের কাছ থেকে বিল না নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ব্যাপারে খোঁজখবর করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি কমিটি করেছে। কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপন্থা ঠিক করতে রোববার বৈঠক করবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনে আহত হয়ে যে সব ছাত্রজনতা সরকারি হাসপাতালে আছেন তাদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে। আর বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রজনতার চিকিংসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এবং প্রয়োজনে এসব বেসরকারি হাসপতালে চিকিংসাধীন ছাত্রজনতার সকল বিল সরকার বহন করবে মর্মে জানানো হয়েছে।

জুলাই থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রত্যাশীদের কোটা আন্দোলন পরবর্তীতে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। ১৫ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের দমাতে লাঠি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ১৬ জুলাই গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যু হয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। সেই থেকে গত ৫ আগস্টে সরকার পতন এবং পরবর্তী সহিংসতায় কত মানুষ আহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে নেই। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং তার পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আহতদের অনেকেই এখনও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধআজ থেকে খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান