আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ

| শনিবার , ৮ মার্চ, ২০২৫ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

জুলাইআগস্ট আন্দোলনের সময় দমনপীড়নে জড়িত না হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল, যদি তারা দমনপীড়নে জড়িত হয়, তাহলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হবে। আসলে আমরা সেনাবাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম যে, তারা এর সঙ্গে জড়িত হওয়ার মানে হলো, তারা আর সেনাদল পাঠানো দেশ হিসেবে থাকবে না। খবর বিডিনিউজের।

বুধবার বিবিসি হার্ডটক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম এবং চ্যালেঞ্জ বিষয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কমিশনের ভালো কাজের উদাহরণ হিসাবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টানেন ফলকার টুর্ক। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনসহ মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বিভিন্ন দেশ যে ‘গুরুত্ব দেয় না’, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। উত্তরে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, আমি আপনাকে একটা উদাহরণ দিতে পারি, যেখানে এটাকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা হয়েছে। আমি আপনাকে বাংলাদেশের উদাহরণ দিব। জুলাইআগস্টে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ সেখানে হয়েছে। শেখ হাসিনার অধীনের পূর্ববর্তী সরকারের সঙ্গে যথেষ্ট রকম (বাজে) অভিজ্ঞতা তারা পেয়েছে, সেখানে ব্যাপক দমনপীড়নের ঘটনা ঘটছিল। তখন তাদের জন্য বড় আশা ছিল আমাদের কথা, আমার কথা এবং যেটা আমরা করতে পেরেছি এবং আমরা পরিস্থিতির উপরে আলো ফেলতে পেরেছি।

এরপর সেনাবাহিনীকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ফলশ্রুতিতে, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস যখন ক্ষমতা গ্রহণ করলেন তখন আমরা পরিবর্তনটা দেখলাম। পরিস্থিতির ওপর আলো ফেলার উদ্দেশ্যে তিনি আমাকে তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে বললেন। তদন্ত করতে বললেন এবং আমরা করলাম। এটা আসলে অনেক সহায়তা করেছে। গত বছর আমি বাংলাদেশে গিয়েছি। একটা ভূমিকা নেওয়ায় এবং তাদের জন্য কথা বলায়, তাদেরকে সমর্থন জানানোয় তারা আমাদের প্রতি ছিল কৃতজ্ঞ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেলের ইঞ্জিন সংকট প্রকট
পরবর্তী নিবন্ধরোজার মাসে অসংযম ও অমিতাচার নয়