নন্দকাননস্থ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে গত ২৪ অক্টোবর বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে ও ডিসি হিল চত্বরে দানোত্তম কঠিন চীবর দান উৎসব সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানের কর্মসূচির মধ্যে প্রথম পর্বে ছিল –জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের প্রয়াত বিহার অধ্যক্ষগণের স্মরণে অষ্ট পরিষ্কারসহ সংঘদান ও সদ্ধর্মসভা। বিকালে অনুষ্ঠিত হয় দানোত্তম কঠিন চীবর দানসভা।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ–সংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাস্থবির। চীবর দানোৎসব উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ও চীবর দানোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. জিনবোধি মহাথের। প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
প্রধান অতিথি সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার একটি চট্টগ্রামের প্রাচীনতম বৌদ্ধ বিহার। এই বৌদ্ধ বিহারটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বৌদ্ধ বিহার হিসেবে গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের সামনের সড়কের গোলচত্বরে বৌদ্ধ ধর্মের শান্তির প্রতীক পদ্মফুলের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হবে। যার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মংহ্লা সিং চাকমা। প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন মহাসচিব এস লোকজিৎ মহাস্থবির। সদ্ধর্মদেশক ছিলেন গহিরা শান্তিময় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ মৈত্রীপ্রিয় মহাস্থবির, প্রিয়রত্ন মহাস্থবির, দীপানন্দ মহাস্থবির। সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে রূপম মুৎসুদ্দী টিটুর গ্রন্থনা ও পরিচালনায় গীতি আলেখ্য ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ পরিবেশিত হয়। এতে ধারা বর্ণনায় ছিলেন কবি ও বাচিকশিল্পী সোমা মুৎসুদ্দী ও অ্যাডভোকেট দীর্ঘতম বড়ুয়া। অংশ নেন প্রাচী বড়ুয়া, ঐশী বড়ুয়া, পূর্বাশা বড়ুয়া, মৃত্তিকা বড়ুয়া, পূজা বড়ুয়া, সুজাতা বড়ুয়া, জানকী বড়ুয়া, রূপম মুৎসুদ্দী টিটু। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












