আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে বাড়ে কমলে কমে না

আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২ জুলাই, ২০২১ at ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতন হলেও খুচরা বাজারে আগের দরেই বিক্রি হচ্ছিল সয়াবিন তেলের দাম। তবে আসছে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গত বুধবার ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সয়াবিনের লিটারে ৪ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত গতকাল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো খোলা বাজারে সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব পড়েনি। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দোকানে যেসব তেল কেনা আছে, সেগুলো বেশি দামে কেনা হয়েছে। তাই এখন হঠাৎ করে দাম কমিয়ে দিলে লোকসান গুণতে হবে।
খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে রূপচাদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, ২ লিটার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা, ৩ লিটার ৪৩৫ টাকা এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭১৫ টাকায়। লিটারে ৪ টাকা হারে কমলে এক লিটার ১৪৬ টাকা, ২ লিটার ২৮২ টাকা, ৩ লিটার ৪২৩ টাকা এবং ৫ লিটার বিক্রি হওয়ার কথা ৬৯৫ টাকায়। কাজীর দেউড়ি এলাকার খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, যেসব তেল আমরা বিক্রি করছি, এগুলো আগের দরে কেনা। এখন হঠাৎ করে লিটারে ৪ টাকা কমে বিক্রি করলে লস দিয়ে বিক্রি করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব মো. নূরুল ইসলাম মোল্লার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পহেলা জুলাই থেকে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৪ টাকা কমে বিক্রি হবে।
খোরশেদ চৌধুরী নামের একজন ভোক্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সয়াবিন তেলের দাম উঠানামা করছে। আন্তর্জাতিক বাজার বাড়ার কথা বলে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করে আসছিলেন। কিন্তু এখন শুনেছি, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে কিন্তু ব্যবসায়ীরা কম দামে তেল বিক্রি করছেন না।
জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম উঠানামা করান। ওরা কখনো চাল নিয়ে, কখনো তেল নিয়ে, কখনো ডাল নিয়ে, কখনো পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। প্রশাসনকেও দেখা যায় কেবল রমজান এলেই ওনারা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। নিয়মিত অভিযান না চালানোর কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ইচ্ছে মতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো, যেন নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদেশগামীদের জন্য চলবে বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
পরবর্তী নিবন্ধগরিবের সেবা বন্ধ, পরে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে চালু