আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গতকাল ব্রিজবেন টেস্টের শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের অবসরের খবর জানালেন ভারতের অভিজ্ঞ এই স্পিনার। ব্রিসবেনে বর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট শেষে এই ঘোষণা দেন তিনি। অশ্বিন বলেন ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সকল সংস্করণ মিলিয়ে এটাই আমার শেষ দিন। যদিও আমি মনে করি ক্রিকেটে দেয়ার মতো আমার আরও কিছু আছে। তবে সেটা ক্লাব পর্যায়ের জন্য। তাই এটাই আমার শেষ দিন। আচমকা অশ্বিনের এই অবসর অবশ্য অনুমিত ছিল না। কিন্তু হুট করেই তিনি নিজের সিদ্ধান্ত জানালেন বর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি চলাকালীনই। যদিও সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো তৃতীয় টেস্টের একাদশেও জায়গা হয়নি অশ্বিনের। ভারতের হয়ে ১০৬ টেস্ট খেলা অশ্বিন নিয়েছেন ৫৩৭ উইকেট। যেটি দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে তার থেকে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড আছ কেবল অনিল কুম্বলের। ৬১৯ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১১৬ ম্যাচ খেলে অশ্বিন নিয়েছেন ১৫৬ উইকেট। এছাড়া ৬৫ টি–টোয়েন্টিতে ৭২ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। ব্যাট হাতেও লড়েছেন তিনি। টেস্টে ৬ সেঞ্চুরিতে অশ্বিনের সংগ্রহে আছে ৩ হাজার ৫০৩ রান। ফিফটি ১৪টি। তাছাড়া রেকর্ড ১১বার প্লেয়ার অব সিরিজ হওয়ার কীর্তি আছে তার।
১০৬ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন হিসেবে। ২০১১ সালে অভিষেক টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে যে পথচলা শুরু হয়েছিল, তা থামল ৫৩৭ উইকেটে। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি ৩৭ বার। এখানে তিনি টেস্ট ইতিহাসেরই দ্বিতীয় সেরা (যৌথভাবে শেন ওয়ার্নের সঙ্গে)। মুত্তিয়া মুরালিধরন এই স্বাদ পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৬৭ বার। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছে আটবার। কুম্বলের সঙ্গে যা যৌথভাবে ভারতের সর্বোচ্চ ও টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ। টেস্টে ৩০০ উইকেট ও ৩ হাজার রানের ‘ডাবল’ অর্জন করা ১১ ক্রিকেটারের একজন তিনি। টেস্টে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হয়েছেন তিনি ১১ বার। রঙিন পোশাকে তার ক্যারিয়ার থমকে ছিল আগে থেকেই। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি গত বছরের বিশ্বকাপে। সবশেষ টি–টোয়েন্টি ২০২২ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াতেই।