আগামীকাল শুক্রবার থেকে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাস্কুলার কনফারেন্স ‘কার্ডিকন চট্টগ্রাম–২০২৩’। নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু’র মোহনা হলে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত কনফারেন্সে ২৬টি সেশনে ৫১টি জার্নাল উপস্থাপন করা হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, নেপালসহ দেশ–বিদেশের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ৭০০ জন অংশগ্রহণ করবেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের ডা. সন্দীপন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ হাইপারটেনশন অ্যান্ড হার্ট ফেইলিউর ফাউন্ডেশন এবং চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি কনফারেন্সটির আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হাইপারটেনশন অ্যান্ড হার্ট ফেইলিউর ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং কার্ডিকন চট্টগ্রাম কনফারেন্সের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশ। তিনি বলেন, হৃদরোগের উচ্চ প্রকোপ ও বিশাল সংখ্যক হৃদরোগীর চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রাম এখনও অনেকটাই পিছিয়ে। বিশেষত সরকারি পর্যায়ে হৃদরোগের চিকিৎসায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগই এখনও সরকারি পর্যায়ের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র। তার ওপর নির্ভর করে এই অঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি জনগোষ্ঠী। বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়ার পরও চট্টগ্রামে নেই কোনো বিশেষায়িত সরকারি হৃদরোগ হাসপাতাল। তা থাকলে এখানে স্বল্প ব্যয়ে আধুনিক হৃদরোগ সেবা আরো বিকশিত হতো। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে সরকারি পর্যায়ে একমাত্র ক্যাথল্যাব রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে। এত বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসার জন্য তা নিতান্ত অপ্রতুল। তবে ইতিমধ্যে এখানে বেসরকারি পর্যায়ে আরো ৬টি ক্যাথল্যাব স্থাপিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের হৃদরোগীদের ঢাকা কিংবা বিদেশ গমন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আর তা সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণে কোনোভাবে যথেষ্ট নয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির সভাপতি ও কার্ডিকন কনফারেন্সের সদস্য সচিব ডা. আশীষ দে বলেন, কনফারেন্সে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এছাড়া হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, করণীয়, প্রতিকার, প্রতিরোধ এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন অধিবেশন পরিচালিত হবে।