আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বপালন

মোহাম্মদ ওয়াহিদ মিরাজ | বুধবার , ২৩ জুলাই, ২০২৫ at ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ

পাগল ও শিশু ব্যতীত অন্য সকলেই যে কোনো দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। তবে এ দায়িত্ব পালনের পদ্ধতি একেক জনের একেক ধরনের তথা সকলের একই রকম হয় না। নিজের উপরে অর্পিত দায়িত্ব প্রত্যেকে সঠিকভাবে পালন করে না বললে তেমন ভুল হবে না। অনেকে শুধুই দায়িত্ব মনে করে এটাকে দায়সারাভাবে শেষ করে। তবে কিছু মানুষ এ দায়িত্বকে খুব আন্তরিকভাবে অন্যের বা দেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রাপ্ত দায়িত্বের বাইরেও সঠিক পথে দায়িত্ব পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। মূলত এ ধরনের সৎ মানুষের দ্বারাই ব্যক্তি, সমাজ তথা দেশ বর্ণনাতীত লাভবান হয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। আমাদের দেশে এমন সাদা মনের অনেক ভালো মানুষ আছেন, যাঁকে দায়িত্ব দেয়া না হলেও তিনি নিজেই তাঁর কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়ে অন্যের উপকার করতে বা স্বার্থ রক্ষা করতে অনেক সময় বিপদের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমাদের দেশের প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যাণে আমরা অনেক সময়ে অবহিত হই যে, সাধারণ ব্যক্তি কর্তৃক অন্যায়কারীকে পাকড়াও তথা অন্যায় দমন বা দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা হলেও এ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন খবরই থাকে না। তৎসময়ে এটাকে অনেকে জনবলের অভাব বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলাকে চিহ্নিত করা হয়।

এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, আমি ‘একজন ব্যক্তি’ হলেও এদেশ আমার হওয়ায় এ দেশের প্রতি আমার যে দায়িত্ব রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমেই দেশের জনগণের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা বিলিয়ে দেয়া উচিত। আমি মনে করি যোগ্য নেতৃত্বকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে তাঁকে সহযোগিতা করা বা নেতৃত্ব অন্যায়কারী হলে তাকে নেতৃত্বশূন্য করা আমার উপরে অর্পিত দায়িত্বের মধ্যে অন্যতম। কারণ একটি দেশের উন্নয়ন বা ধ্বংসের পেছনে সমাজ বা দেশের নেতৃত্বকারীদের ভূমিকা অপরিসীম। আমার পক্ষে স্বপ্নের দেশ গঠনে দেশপ্রেমিক জনগণের ভূমিকা বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়, বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহের জনগণের আন্তরিকতাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাধা নয়, নতুন পথের সূচনা
পরবর্তী নিবন্ধমেয়র একাডেমি কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফাইনালে ব্রাদার্স