নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল শেখ হাসিনা সরণির আন্ডারপাসে পিকনিকের বাস আটকে এক শিশুর প্রাণ গেছে; এতে আহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ যাত্রী। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ের সামনের সার্ভিস সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে তিতাস গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সমিশন নারায়ণগঞ্জে ডিজিএম প্রকৌশলী মামুন আর রশীদ জানান। খবর বিডিনিউজের।
হতাহতরা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ শাখার কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য বলে জানান তিনি। নিহত মো. নিখিল (১২) তিতাস গ্যাস কর্মচারী নিলুফা ইয়াসমিনের ছেলে। এ ঘটনায় নিলুফাও আহত হয়েছেন। আহত অন্যরা হলেন– নিশু মনি (১৭), শাকিল আলমগীর (৫০), তানিয়া আক্তার (৪০), শ্যামা (৩৫), সুরাইয়া (২৫), অর্পনা বিশ্বাস (২০), সুমাইয়া জাহান (৩৫), চমক (২১), মনোয়ার হোসেন (৫৮) প্রীতি (২৩), শ্রাবন্তী (১২), ইতি (৩৮), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫), বলহরী (১৯), মদিনা সরকার (২৫), সুমাইয়া আক্তার (২৪), রাদ (১০) শরীফুল আসাদ (৪০), হুমাইরা বেগম (৫৮) ও জাহানারা (৪৫)। আহতদের মধ্যে ১২ জন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ও ১০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রকৌশলী মামুন আর রশীদ জানান, শনিবার সকালে তিতাস গ্যাস কর্মচারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রূপগঞ্জের একটি পার্কে বার্ষিক বনভোজনে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের বহনকারী একটি দোতলা বাস আন্ডারপাসে আটকে যায়। খবর পেয়ে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দেড়ঘণ্টার চেষ্টায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বলে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার উদ্দীপন ভক্ত জানান।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে উদ্দীপন ভক্ত বলেন, সড়কটি শেখ হাসিনা সরণির একটি সার্ভিস সড়ক। এই সড়কটি দোতলা বাস চলাচলের জন্য নয়। চালক ভুল করে সড়কটিতে ওঠেন। আর বেপরোয়া গতিতে চালায় গাড়িটি আন্ডারপাসে ধাক্কা খায়।
আন্ডারপাস সড়কে সর্বোচ্চ কত উচ্চতার গাড়ি চলাচল করতে পারবে তা লেখা ছিল না; তবে চালক সতর্ক থাকলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।