ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার মাসে আমার পিতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বর্ষীয়ান আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর কথা মনে পড়ে। আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী ও আদর্শের সৈনিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে অবদান রেখে গেছেন। গণমানুষের নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্ছতায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দক্ষিণ
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। আমার পিতার আমৃত্যু স্বপ্ন ছিল আনোয়ারা–কর্ণফুলীর গণ মানুষের উন্নয়ন। তিনি পুরোজীবন রাজনীতি ও মানবতার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। আজ আমি সেই পিতার সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি। আমার পিতার মত রাজনীতি ও মানবতার
জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই। আমি সব ভাল কাজে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। পিতার মত আমারও একটাই স্বপ্ন, আনোয়ারা–কর্ণফুলীকে মডেল উপ–শহর হিসেবে গড়ে তোলা। এলাকার মানুষের সেবা করা। সেই সাথে আপনাদের কাছে আমার একটাই বক্তব্য কেউ যদি আমার নাম ভাঙিয়ে মন্দ কাজ
করতে চায় তাদের প্রতিরোধ করুন, আর ভাল কাজে আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ। মৃত্যুর কথা স্মরণ করুন, সত্য এবং ন্যায়ের পথে থাকুন। শেষে তিনি দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আফাজ উল্লাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়কালে দলের নেতাকর্মী ও স্থানীয় মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী,
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক ইমন, আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মোহাম্মদ হাসান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আলমগীর চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, বরুমচড়া ইউপি চেয়ারম্যান
শামসুল ইসলাম চৌধুরী, বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী সেলিম, ভূমিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন বাবু, আজাদ শিকদার, খোরশেদ আলম, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের প্রমূখ।
