আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা প্রদানে হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–২ এর এনফোর্সমেন্ট টিম। গতকাল রবিবার দুপুরে দুদক টিম অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের কাছে বেশ কয়েকটি অনিয়মের সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী রোগীদের সেবার মান বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, দুদক এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা অভিযানকালে সেবাদানে ধীরগতি, ডাক্তারদের হাজিরা তালিকায় অসঙ্গতি, ভর্তিকৃত রোগীদের ওয়ার্ডে অপরিচ্ছন্নতা পরিলক্ষিত হয়। দুদকের কর্মকর্তারা হাসপাতালের আউটডোর, ইমারজেন্সি, এক্সরে রুম, জেনেরেটর রুম এবং হাসপাতালে বেড পরিদর্শন করে রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের বিভিন্ন অভিযোগের কথা শুনেন। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করেন। দুদক টিমকে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ তদন্ত কাজ পরিচালনা করতে দেখা গেছে। তদন্ত শেষে অভিযানের টিম লিডার সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–২ এর সহকারী পরিচালক ইমরান খান অপু সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে রোগীরা পর্যাপ্ত সেবা না পাওয়া, চিকিৎসকেরা সময় মতো কর্মস্থলে না আসা, জরুরি সেবাসহ বিভিন্ন সেবার মান নিয়ে একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন এ অভিযানে নামে। অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ডাক্তারদের এক সপ্তাহের ফিঙ্গার নিয়েছি এখানে আমরা অসঙ্গতি পেয়েছি, বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তিতে অসঙ্গতি পেয়েছি, জরুরি বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমে অসঙ্গতি পেয়েছি, তাছাড়া বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমগুলোর সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। এসব বিষয়ে আমরা পরিদর্শন করে দেখলাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসারের সাথে কথা বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানের অভাব রয়েছে বলে জানা যায়, তবে অতিরিক্ত ফি আদায় ও কোন দালালের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি বলে জানান তিনি। অভিযানের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্যাবলি ও সংগৃহীত অন্যান্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলে জানানো হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপরেও হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগগুলোর বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।











