আনোয়ারায় ২০ দিনে আটটিরও বেশি চুরির ঘটনা

আনোয়ারা প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৪ জুন, ২০২২ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় বেড়েছে চুরির ঘটনা। একের পর এক চুরির ঘটনায় সর্বমহলে ক্ষোভ বাড়ছে। চোরের ভয়ে মানুষ বাসা-বাড়ি ও দোকান বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এ দিকে দিনের বেলা ও রাতে এ সব চুরির ঘটনা সিসি ক্যামরার ফুটেজে ধরা পড়লেও চোরকে গ্রেপ্তার করা যায় না এবং চুরি হওয়া মালামালও উদ্ধার হয় না। এতে প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী মহলের আস্থা কমছে। জানা গেছে, গত ২০ দিনে শুধু আনোয়ারা থানা সদর ও এর আশপাশে ৮ টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার বা চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।

২০ জুন সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় ও দুপুর ১ টায় উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের মালঘর বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে একদল দুষ্কৃতকারী দোকানের তালা ভেঙে বি এম জুয়েলার্স ও এলান ডেকোরেশনের মালিক এয়ার মুহাম্মদের মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ (ফেসবুক) পুরো এলাকায় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। তার আগে গত ১৯ জুন শনিবার রাতে আনোয়ারা থানার পূর্ব গেট সংলগ্ন সরকার মোটরস ও প্রিয়ন্ত স্টোরে চুরি ঘটনা ঘটেছে। ১৮ জুন রাতেও উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড থেকে স্থানীয় মো. ইসমাইলের মালিকানাধীন ধান মাড়াইয়ের মেশিন চুরি হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিনে উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রাম থেকে ৫টি মহিষ এবং বরুমচড়া ও বারখাইন ইউনিয়নে একাধিক চুরির ঘটনার ঘটেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ-আনোয়ারায় চুরির ঘটনা বাড়লেও পুলিশ প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোনো একটি ঘটনায় চোর গ্রেপ্তার বা মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি।
বি এম জুয়েলার্সের মালিক পঙ্কজ বলেন, গত ২০ জুন সোমবার সকালে দোকানে এসে দেখি দোকানের গ্রিলে লাগানো তালা ভাঙা। দোকানে থাকা সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।

মোটরসাইকেলের মালিক এয়ার মুহাম্মদ ইয়ারু বলেন, ২০ জুন দুপুরে দোকানের সামনে মোটরসাইকেল রেখে মসজিদে যাই। এসে দেখি গাড়ি চুরি হয়ে গেছে। সিসি ক্যামরার ফুটেজে চোর দেখা গেছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, চুরির ঘটনায় পুলিশ অপরাধীদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৯ জুন থেকে নগরে ব্যাংকের ৫ শাখায় মিলবে নতুন নোট
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়ার চেষ্টা