আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আনোয়ারায় হঠাৎ বেড়েছে জ্বরের প্রকোপ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডাক্তারের ব্যক্তিগত চেম্বারে বেড়ছে সর্দি, জ্বর ও কাশির রোগীর সংখ্যা। গত দুই সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার রোগী। এদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। বেশিরভাগ সিজনাল ফ্লু-তে আক্রান্ত হলেও রয়েছেন করোনা আতঙ্কে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তারা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে সর্দি, জ্বর বা কাশির প্রকোপ বেড়েছে।
আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহে বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ১৫শ ৮৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার ১৬০ জন, এছাড়া জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়া নিয়ে হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ। বেশিরভাগ রোগীর শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি। ছেলের চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা খাতুন জানান, গত ৩ দিন ধরে জ্বরে ভুগছে তার ছেলে, সেই সাথে সর্দি ও কাশি রয়েছে। আনোয়ারা স্বাস্থ্য ৫ম পৃষ্ঠার ৪র্থ কলাম
কমপ্লেক্স ছাড়াও বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে সর্দি, জ্বর ও কাশির রোগী বাড়ছে। চিকিৎসকদের চেম্বারেও ভিড় করছেন রোগীরা। করোনার উপসর্গের সঙ্গে রোগ মিলে যাওয়ায় রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় কেউ কেউ করোনা সংক্রমণ আতঙ্কে নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন। পরীক্ষায় কারও ধরা পড়ছে ‘করোনা পজেটিভ’, কারও-বা রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’।
আনোয়ারা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মো. সাইফ উদ্দিন জানান, আবহাওয়া পরিবর্তণের কারণে আনোয়ারায় গত দুই সপ্তাহ ধরে সর্দি, জ্বর ও কাশি রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অনেকেই করোনা মনে করে পরীক্ষা করাচ্ছেন। তবে রোগ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতনভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেন তিনি।